শীত মানেই মনটা ফুরফুরে। শীত মানেই একটা আলাদা আমেজ। একটা আলাদা অনুভূতি। একটা আলাদা গন্ধ। আর তাই জন্যই তো, সকলে পিকনিক কিংবা ছোটোখাটো ট্যুরে ব্যস্ত থাকে। আবার অনেক জায়গায় কিন্তু মেলাও হয়। আর এই সব মেলা কিন্তু শুধু মেলা নয়, প্রতিটি মেলার একটা করে বিশেষত্ব আছে কিন্তু। আসুন দেখে নেওয়া যাক, সেইসব বিশেষত্ব যুক্ত শীতকালীন মেলা (Winter Fair) সম্পর্কে।
মুড়ির মেলা : ভাবছেন মুড়ির আবার মেলা হয় নাকি! হ্যাঁ এই কথাকে সত্যি প্রমাণ করতে প্রতি মাঘের ৪ তারিখ পৌঁছে যান বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়ায়। দ্বারকেশ্বরের চরে বসে পরিবারের সকলে মিলে এই মেলায় মেতে ওঠে। তবে শুধু মুড়ি নয়, মুড়ির সাথে থাকে চপ, সিঙ্গারা, বেগুনি, ঘুগনি, শসা, পেঁয়াজ, নারকেল, টমেটো, বিভিন্ন ধরনের নাড়ু, জিলিপি, মিঠাই। তাহলে আর দেরি কেন চলে যান বাঁকুড়ার এই মেলায়।
খাই মেলা / বুড়িমার মেলা : আদি নাম ছিল বুড়িমার মেলা, এখন নাম হয়েছে খাই মেলা। বনগাঁর সভাইপুরে ২৫ অগ্রহায়ণ এই মেলা হয়। এই মেলায় খাওয়া হয়, খিচুড়ি। এককথায় একে খিচুড়ি মেলাও বলা চলে। এই মেলায় হিন্দু মুসলিম সকলেই একসঙ্গে হাঁড়ি চড়িয়ে খিচুড়ি রান্না করে। তাই আর দেরী কেন হিন্দু মুসলমান এর মেলবন্ধন দেখতে চলে আসুন বনগাঁর এই মেলায়।
বনগাঁর সাতভাই কালীতলা মেলা : বনগাঁ সাতভাই কালীতলায় গোটা পৌষ মাস জুড়ে মেলা হয়। আনুমানিক ৪০০ বছর আগে একটা জমিদার বাড়িতে সাতভাই মিলে ডাকাতি করতে যায়। আর সেখানেই কালী মায়ের স্বপ্নাদেশ পায়, এরপর তারা ইছামতী নদীর পাড়ে বটগাছের নীচে মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে, সেখান থেকেই এই মন্দিরের নাম হয় ‘সাতভাই কালীতলা।
আলুর দমের মেলা : মাঘের শীত হালকা কুয়াশা, আর সেখানেই পথ জুড়ে বসে মেলা। আর সেই মেলায় ফুচকা নয়, খেলনা নয়, থরে থরে সাজানো আলুর দমের হাঁড়ি। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের কাছে রাজাপুর এলাকায় মাঘ মাসের প্রথম দিনে শুরু হয় এই মেলা।
বাণীপুর লোক উৎসব : উত্তর ২৪ পরগনার বানীপুরে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় এই মেলা। এই মেলায় লোক জিনিসের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এটি হল পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম লোক উৎসব তাই আর দেরী না করে চলে আসুন এই মেলায়।