বাস্তবের প্রেক্ষাপট উঠে আসে ধারাবাহিকে। আর সেইমতো, আমরা দেখি বাস্তবের সবকিছু ধারাবাহিকে উঠে আসতে। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে যদি ধরা হয়, তাহলে বাস্তবের সবকিছুর সাথেই মিল থাকবে, তাই তো দেখা যায়, ধারাবাহিকেও ঈশ্বর কে ডাকতে। আমরা বাস্তব জীবনে দেখি, মানুষ প্রতিটি আলাদা আলাদা ঈশ্বরের ভক্ত। ধারাবাহিকের ক্ষেত্রেও কিন্তু সেটাই দেখা যায়।
বাংলা ধারাবাহিক (Bengali Serials) গুলোতে কিন্তু দেখা মেলে পূজার আড়ম্বর। সাধারণত বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। সেই সূত্রে প্রত্যেক বাঙালির ঘরে কিন্তু প্রত্যেক মাসে পূজোর দেখা মেলে। কোথাও কিছু নেই, ঘরের শান্তি রক্ষাতে পূজা। ক্যালেন্ডারে যদি পূজোর দিন নাও লেখা থাকে, তাহলেও দেখা মেলে কোনো কিছু কারণ দেখিয়ে পূজা হচ্ছে , ধারাবাহিকেও কিন্তু এমন কিছুর দেখা মেলে।
পূজোর আড়ম্বর দেখা যায়, বিশেষ করে মিঠাই (Mithai) ধারাবাহিকে। তারা কিন্তু গোপালকে বেশ মানে, যে কোনো বিপদের সম্মুখীন হলেই গোপালকেই ডাকে। বিপদে পড়লেই বলে ওঠে ‘জয় গোপাল’। গোপালের পূজাও বেশ আড়ম্বর করে করে। অনেকেই ঘরের শান্তি বজায় রাখতে সত্যনারায়ণ পূজা করে, কিন্তু মিঠাইরা গোপালের পূজা করে।
এ তো গেল মিঠাই ধারাবাহিক, এরপর আসি ‘পিলু’ (Pilu) ধারাবাহিকে, পিলু কে রক্ষা করছে বজরংবলী। ‘গৌরী এলো’ (Gouri Elo) ধারাবাহিকে দেখা যায়, তাকে রক্ষা করছে মা ঘোমটা কালী, এবার সম্প্রতি যে নতুন ধারাবাহিক এসেছে ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Modhu), এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে, পর্ণাকে রক্ষা করছে জগ্গু দাদা। এর আগেও বহু ধারাবাহিকে বহু ঠাকুর তাদের রক্ষা করেছে।
ধর্ম কে সামনে রেখে বলছি না, ধর্মের সাপেক্ষেও বলছি না, আপাত দৃষ্টিতে যদি দেখা যায়, ধারাবাহিক গুলো কিন্তু হিন্দু ধর্মকে মেনেই হয়। তাই আমরা দেখি, হিন্দু ধর্মে থাকে, নানান নিয়ম-রীতি, আচার-আচরণের আড়ম্বর। সেই মতো ধারাবাহিকেও দেখা যায়, আচার, নিয়ম-রীতি, ব্রত, আদব -কায়দা সবটাই দেখানো হয়। এমনকি এইসব নিয়ম-রীতি পালন না করলে কি ফল হয়, সেটারও দেখা মেলে।