ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসির (National Educational Policy, NEP) অন্তর্ভুক্ত ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় ২০২০-র অধীনে কিছু বড়সড় পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। NEP বাস্তবায়ন করতে শিক্ষা ব্যবস্থায় আনা হয়েছে ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক (National Curriculum Framework, NCF) এর সুপারিশে, CBSE নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত কিছু কিছু CBSE (Central Board of Secondary Education) স্কুলে পাইলট প্রোগ্রাম হিসাবে ওপেন বুক পরীক্ষার (Open Book Examination) প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
উক্ত প্রসঙ্গে, এক আধিকারিকের বক্তব্য অনুযায়ী ২০২৩ সালে গভর্নিং বডি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবং প্রকল্পটি শীঘ্রই চালু করা হবে। সংশ্লিষ্ট বোর্ড চলতি বছরেই তাদের নির্বাচিত স্কুল গুলিতে এই ওপেন বুক পরীক্ষা চালু করার পরিকল্পনা করেছেন। নভেম্বর মাসে নবম-দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রদের জন্য ইটা একটা সাধারণ পরীক্ষা হিসাবে চালু হবে। আর এই প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী, ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার সময় তাদের বই, নোট কিংবা অন্যান্য অনুমোদিত সামগ্রী নিয়ে পরীক্ষা দিতে বসতে পারবে।
এর অর্থ এই প্রকল্প চালু হলে পরীক্ষার্থীরা ওপেন বুক পরীক্ষায় বই বা তাদের পঠনের অন্যান্য যা সামগ্রীই কাছে রাখুন না কেন তা থেকে দেখে, খুঁজে প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারবেন। এই পরীক্ষা দুটি পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে। প্রথম পদ্ধতি অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে এসেই পরীক্ষা দিতে হবে। তবে তারা তাদের পঠনের বই বা অন্যান্য অনুমোদিত সামগ্রী থেকে দেখে উত্তর লিখতে পারবেন। কিন্তু পরীক্ষাটি হবে অফলাইন।
আর দ্বিতীয় পদ্ধতি অনুযায়ী, পরীক্ষা পরিচালনা হবে অনলাইনে। শিক্ষার্থীর কাছে অনলাইন মাধ্যমে বিশেষ পোর্টালের সাহায্যে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হবে শিক্ষার্থী লগ ইন করে বই বা নোটের সাহায্যে দেখে উত্তরপত্র লিখে সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে জমা করে দেবে। মনে করা হচ্ছে, পরীক্ষার এমন বিশেষ পদ্ধতির দ্বারা সিলেবাস মখুস্ত করে পরীক্ষা না দেওয়াতে ছাত্রছাত্রীদের চিন্তাভাবনা হবে উচ্চক্রমের, দক্ষতা, প্রয়োগ, বিশ্লেষণ মূলক।
পাশাপাশি সমস্যা সমাধানেও ছাত্রছাত্রীদের মনোযোগ বাড়বে। তবে এক্ষেত্রে, কিন্তু প্রশ্নগুলো সরাসরি হবে না। উক্ত পরীক্ষাটি CBSE-র নবম আর দশম শ্রেণীর জন্য ইংরেজি, বিজ্ঞান এবং গণিত। আর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ক্ষেত্রে ইংরেজি, গণিত আর জীববিদ্যার ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা লাঘু করা হবে। এবার পাইলট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এই পরীক্ষা সব স্কুলে প্রয়োগ করা হবে কিনা? উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে বিদেশে অনেক দেশেই এই পরীক্ষা পদ্ধতি প্রচলিত।