মনে আছে সুকুমার রায়ের বিখ্যাত ছড়া, “বিদ্যে বোঝাই বাবুমশাই চড়ি সখের বোটে”। মনে থাকবে নাই বা কেন ছোটো থেকে আমরা কত আওড়েছি। বর্তমানে আমাদের সামনেই রয়েছে একজন বিদ্যে বোঝাই বাবুমশাই। চেনেন তাকে? সে হচ্ছে বিদ্যের জাহাজ বোধিসত্ত্ব। বুঝতে পারলেন কার কথা বলছি? জী বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘বোধিসত্ত্বের বোধবুদ্ধি’ (Boddhisatwer Bodhbuddhi) নিয়ে দর্শক মহলে উঠেছে প্রশ্ন।
সম্প্রতি জি বাংলার পর্দায় এসেছে নতুন ধারাবাহিক ‘বোধিসত্ত্বের বোধবুদ্ধি’ (Boddhisatwer Bodhbuddhi)। এই গল্পের কাহিনী একটি ছোট্টো ছেলেকে নিয়ে। তাঁর বুদ্ধি এতটাই প্রখর যে হার মানাবে বিখ্যাত জ্ঞানী মানুষদেরকেও। বোধির চরিত্রে অভিনয় করছেন রায়ান গুহনিয়োগী। বয়স মাত্র আট বছর। তাঁর বুদ্ধি এবং জ্ঞান স্কুলের দিদিমনিদেরও হার মানায়। রোজ তার দুঃসাহসিক কান্ড কারখানা দেখে তিতিবিরক্ত বাড়ির লোক থেকে স্কুলের শিক্ষক সকলে। এবার সে এমন এক কান্ড করে বসল যে তার কান্ড দেখে সবাই প্রশ্ন তুলেছেন বাস্তবতার।
নতুন প্রোমো ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ক্লাস ফোরে পড়া বোধি হয়ে গেল একজন হ্যাকার। কাকিমা সিরিয়াল দেখছিল, কিন্তু টিভি খারাপ হয়ে যাওয়ায় মুশকিলে পড়ে কাকিমা। তাই কাকিমার বায়না মেটাতে ছোট্টো বোধি ডিস টিভিতে সিগন্যাল ট্র্যাক করে। সেই টিভিতে সিরিয়ালের বদলে দেখা গেল থানার সিসিটিভি ফুটেজ।
এই কাহিনী মজার হলেও সবাই প্রশ্ন তুলছেন বাস্তবতার। ক্লাস নাইনের বই পড়ে মুখস্থ করা সম্ভব। কিন্তু এই অল্প বয়সে হ্যাকিং। সেটাই কেউ মেনে নিতে পারছে না। কেউ বলছেন, বাচ্চার বাচ্চার মতই থাকা উচিত। কেউ আবার বলছেন অল্প বয়সে পেকে গেছে। এই ধারাবাহিক দেখে দর্শকদের সংশয় হচ্ছে। যদি বোধিকে দেখে তাদের বাড়ির ছোট্টো ছেলেরা এই কান্ড করতে যায়, তাহলে তো ইলেকট্রিক শক খেয়ে বিপদ আরও বাড়বে।
আবার হ্যাকাররাও করছেন নানারকম ট্রোল। কেউ বলছেন এতই সহজ নাকি হ্যাক করা। আমরা বছরের পর বছর সব শিখেও কিছু করতে পারলাম না। শুরুতেই ট্রোলের মুখে এই ধারাবাহিক। তবে সিরিয়ালের নামেই রয়েছে বোধিসত্ত্বর বোধবুদ্ধি। অর্থাৎ বুদ্ধি তো থাকবেই। একটা বাচ্ছা মানুষ তাঁর ছোটো মাথায় বুদ্ধি দেখাতে গিয়ে বড়দের মতো যাই করুক না কেন তার তো উল্টো ফল হবেই। আর এই উল্টো ফল থেকেই পাওয়া যায় হাসির রসদ। তবে এই ধারাবাহিক যে একদিন সবার শীর্ষে জায়গা করে নেবে, তা নিয়ে আশাবাদী নিয়মিত দর্শকরা।