৮ ই এপ্রিল ছিল বাংলা উপন্যাসের জনক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের (Bankim Chandra Chatterjee) ১২৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী। আর এই দিনেই শোনা গিয়েছিল, ‘১৭৭০ এক সংগ্রাম’ (1770 Ek Sangram) নামের সিনেমা তৈরি হবে। যা মুক্তি পাবে হিন্দি, তামিল ও তেলেগু ভাষায়। ছবিটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের (Bankim Chandra Chatterjee) ‘আনন্দমঠ’ (Anandamath) উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। সত্যি বাংলার গর্বকে নিয়ে এরকম সুন্দর কাজ করলে বাঙালি হিসেবে নিজেদের গর্বিত বোধ টা যেন কোনো কারণ ছাড়াই এসে যায়।
এই সিনেমার চিত্রনাট্য লিখছেন জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার কে ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ (K V Vijayendra Prasad)। যিনি বাহুবলী’, ‘আরআরআর’, ‘মণিকর্ণিকা: দ্য ক্যুইন অফ ঝাঁসি’, ‘বজরঙ্গী ভাইজান’-র মতো ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন। এইসব ঐতিহাসিক ক্লাসিক উপন্যাস অবলম্বনে যদি ছবি বানানো হয় তাহলে কেন এগিয়ে থাকবে না দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি? তাদের বিষয় নির্বাচন সকল ইন্ডাস্ট্রির থেকে স্বতন্ত্র। তাই তারাও স্বতন্ত্র।
সামনে এসেছে এই ছবির পোস্টার পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, একজন সাধু হাতে তলোয়ার নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ইংরেজদের দিকে। সাধুর সামনের দিক দেখা যায়নি, পিঠের দিকটাই দেখা যাচ্ছে । আর বড় বড় করে লেখা রয়েছে ছবির নাম ‘১৭৭০’। এই ছবির চিত্রনাট্যের দায়িত্বে রয়েছেন, কে ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ। আর ক্রিয়েটিভ প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন রাম কমল মুখোপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে এই ছবি বাংলাতেও ডাবিং হবে।
এইসবের সাথে যুক্ত হয়েছেন আরও এক বাঙালি। তিনি হলেন একতা ভটাচার্য। একতা ও তাঁর টিম মিলে তৈরি করেছেন এই ছবির পোস্টার। এর আগে সে আরও অনেক বড় বড় ছবির পোস্টার বানিয়েছে, কিন্তু এই প্রথম সে দক্ষিণী ছবির পোস্টার বানাল। একতা বঙ্গ কন্যা। তাই এমন একটা ছবির সাথে যেকোনো ভাবেই হোক জুড়ে থাকাটা তার কাছে বেশ গর্বের।
কাজ প্রসঙ্গে একতা জানান, ‘এই প্রথম বার আমি দক্ষিণ ভারতের কোনও প্রজেক্টে কাজ করলাম। বেশ ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই কাজ করে আমি খুবই খুশি। তার উপর আবার এ বছর ‘বন্দেমাতরম’, ‘আনন্দমঠ’-এর ১৫০ বছরের পূর্তি ছিল, এই সময়ে এরকম একটা কাজ করতে পেরে আমি খুবই খুশি। এই ধরনের কোনও প্রজেক্টে কাজ করতে গেলে অনেকটা বাড়তি দায়িত্ব থাকে। তবে এটার জন্য আমি রামদা ও আমার টিমের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব, কারণ তাদের সাহায্য ছাড়া এটা করতে পারতাম না।’
এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘ওরা আমাকে বলে দিয়েছিল, হিরোকে কেমন দেখতে হবে, একটা বেসিক ক্যারেক্টার স্কেচ দিয়েছিল, সেটা দেখেই আমি কাজটা করেছি’। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক মাস যাবৎ দক্ষিণী সিনেমা সকলের মনে আলাদা জায়গা তৈরী করে নিতে শুরু করেছে। নতুন স্বতন্ত্র ভাবনা দিয়ে তারা মন জয় করেছেন দর্শকের। বলিউডের বড়ো বড়ো সিনেমাও ফিকে হয়ে পড়ছে দক্ষিণী সিনেমার সামনে।