বাংলার ইন্ডাস্ট্রি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। এত বছরের কেরিয়ার জীবনে অজস্র ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। তাঁর কাছে বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। এত বছর বয়সেও তিনি নায়ক হওয়ার ক্ষমতা রাখেন। বয়স বেড়েছে বলেই যে বাবা-কাকার চরিত্রে অভিনয় করবেন তা কিন্তু নয়, তিনি যেমন বরাবরই নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন, বর্তমানের সিনেমাতেও তিনি বিশেষ ও আকর্ষণীয় চরিত্রেই আবির্ভূত হন।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পর আরও একজনের নাম মনে আসে, তিনি হলেন এভারগ্রীন রচনা ব্যানার্জী (Rachna Banerjee)। তাঁর কাছেও বয়স শুধুমাত্র একটা সংখ্যা। আজও তাঁর রূপ বর্তমানের সমসাময়িক নায়িকাদের ছাপিয়ে যাবে। তাঁর হাসি তে আগেও মানুষ যেমন মুগ্ধ হয়েছেন, বর্তমানে এখনও সবাই মুগ্ধ হয়। তিনি যেন অমৃত যৌবন লাভ করেছেন। মুখে নেই বার্ধক্যের ভাঁজ। তিনি অপরূপা।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আর রচনা ব্যানার্জী একসাথে জুটি বেঁধে ৩৫ টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। একটা সময় দর্শকরা তাদের অভিনয় দেখে ভেবেই নিয়েছিলেন, রিয়েল লাইফেও তাঁরা একসাথে এক জুটি। কিন্তু এটা সত্যি হয়নি কখনো। রচনা ব্যানার্জীরও একটা আক্ষেপ থেকে গেছে, একসঙ্গে ৩৫ টা ছবিতে অভিনয় করেও, কখনও আমার সঙ্গে প্রেম করল না, প্রেমের কথা বলল না, শুধু সিনেমাতেই নায়ক-নায়িকা হয়ে রয়ে গেলাম।
তবে এই আক্ষেপের সুর ঘোচাতেই পুজোর উৎসবে একে অপরের কাছাকাছি এলেন রচনা-প্রসেনজিৎ। একজন দেবদাস আর একজন পার্বতী হয়ে নতুন করে চিত্রনাট্য লিখলেন। পুজো মানেই প্রেম, সেই প্রেমের আবেগে ভাসলেন দুজনে। দুজনে ঠিক ১১ টার সময় সাক্ষাৎ করলেন আইটিসি রয়্যাল বেঙ্গলে। কি পড়বেন, কী সাজবেন দুজনে মিলে সবটা ঠিক করলেন।
অমলিন দত্তের সূক্ষ্ম কাজের পাঞ্জাবি –ধুতি পড়লেন দেবদাস আর রচনা তাঁর নিজের কালেকশনের গোলাপ কাঁথার ব্যাঙ্গালোর সিল্ক পড়লেন। দুজনেই আবদ্ধ হলেন, ‘ভালবাসি শুধু তোমাকে’ কথার ট্যাগলাইনে। তাদের ফটোশ্যুট দর্শকদের মনে করালো, সেই হারিয়ে যাওয়া জুটির একসাথে রোমান্টিক কিছু দৃশ্য।
তাদের ফটোশ্যুট সেইসব পুরানো স্মৃতি রোমন্থন করাল। ‘সকাল সন্ধ্যা’, ‘সবুজ সাথী’, ‘সাথী আমার’, ‘চাওয়া পাওয়া’- এর সেই জুটির রোমান্সকে। প্রসেনজিৎ আর রচনা ব্যানার্জীর এতো বছরের অভিনয় জীবনের পরিচয় আজও অমলিন। তারা একে অপরের সাথে বেশ সাবলীল। তাদের মাঝের বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়েছে সময়ের সাথে সাথে।