‘বেইমান তুমি’! তিতিরের প্রতি লালনের আদিখ্যেতা দেখে, তাকে উপযুক্ত জবাব দিল বৌমণি

লালন আর ফুলঝুরির কেমিস্ট্রি, দর্শকদের বেশ ভালোই লাগত। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের প্রেমজ জীবন সকলের মন ছুঁয়ে গিয়েছিল ধূলোকনা (Dhulokona) ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। লালনের স্বপ্ন বড়

Saranna

dhulokona serial lalon leave fuljhuri for titir angry kamalini

লালন আর ফুলঝুরির কেমিস্ট্রি, দর্শকদের বেশ ভালোই লাগত। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের প্রেমজ জীবন সকলের মন ছুঁয়ে গিয়েছিল ধূলোকনা (Dhulokona) ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। লালনের স্বপ্ন বড় গায়ক হওয়ার। আর ফুলঝুরির স্বপ্ন ছিল সুন্দর সংসারের। এর বেশি দুজনেই কিছু চায়নি। এ হেন সাধারণ স্বপ্নের কাহিনী দেখে মুগ্ধ হয়েছিল সকলেই। বর্তমানে ভালোলাগার গতিবিধি যেন কমে গেছে, লালনের উপর রেগে আগুন সকলেই।

লালন-ফুলঝুরি চেয়েছিল এই সাধারণ স্বপ্ন কে পূরণ করতে। পূরণ করার লক্ষ্যে তারা এগিয়েছিল, সফল হয়েছিল। কিন্তু ভাগ্য সাধ দেয়নি। দুজনের বিয়ে হয়। কিন্তু তাদের এই সুন্দর সম্পর্ককে মেনে নিতে পারেনি চড়ুই এর মা। তাই ষড়যন্ত্র করে লালন করে মেরে ফেলে সমুদ্রের জলে। কিন্তু লালন বেঁচে যায়। এক ডাক্তারের বাড়িতে আশ্রয় পায়।

dhulokona serial lalon leave fuljhuri for titir

 

কিন্তু লালনের স্মৃতি শক্তি হারিয়ে যায়। লালন কাউকে চিনতে পারে না। ফুলঝুরিকেও না। তাই সে ডাক্তারের মেয়ে তিতির কে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের পরে, মনে পড়ে ফুলঝুরির কথা। তাই তিতিরের কাছে থাকাকালীন ফুলঝুরির জন্য কষ্ট পেতে থাকে। ফুলঝুরির কাছে যেতে চায়, আবার ফুলঝুরির কাছে থাকার সময় তিতিরের কাছে যেতে চায়। এ হেন সংশয়বাদী মনের জন্য লালনকে সবার অপছন্দ।

লালন জানায়, তিতির কে ছাড়া আমার একদম ভালো লাগছিল না, খেতে পারছিলাম না, ঘুমোতে পারছিলাম না। তাই সে আবার তিতিরের কাছে যায়। এই ঘটনায় তিতিরের মা আর তিতির খুশি। তিতিরের বাবা ডাঃ রোহিত মেনে নিতে পারেননি।

আরও পড়ুনঃ সম্পর্কে ইতি, ‘লালঝুরি’র মাঝে ভাঙ্গন ধরালো তিতির! ভাইরাল ধূলোকনার নতুন প্রোমো

লালনের এসব কথা শুনে রেগে যায়, ফুলঝুরির বৌমণি। লালনকে জানায়, এই যে এই অপমানটা আজ করলে, একদিন ঠিক তার ফল পাবে। যদি তুমি অসুস্থ না হতে তাহলে তোমাক বেইমান বলতাম। একথা শুনে দর্শকরা বেশ খুশি। সত্যিই তো একটা বিবাহিত পুরুষ যদি সবসময় অন্য মেয়ের কাছে যেতে চায়, সমাজ মানবে না। এ কথা সত্য। তাই তো সকলেই চাইছে ওদের ডিভোর্স হোক। ভবিষ্যতে দেখা যাক, কোনদিকে এগোয় সম্পর্কের সমীকরণ।

Related Post