একের পর এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সমস্যা কি শুধুই TRP? জানালেন কর্মকর্তারা

আজকাল ধারাবাহিক নিয়ে নানান রকম ট্রোল হয়, প্রতিটি ধারাবাহিক (Serial) নিয়েই আমরা দেখি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হচ্ছে, কখনও ধারাবাহিকের কাহিনী নিয়ে, আবার কখনও বা চরিত্র

Saranna

is trp the only reason for serial closure one after the other

আজকাল ধারাবাহিক নিয়ে নানান রকম ট্রোল হয়, প্রতিটি ধারাবাহিক (Serial) নিয়েই আমরা দেখি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হচ্ছে, কখনও ধারাবাহিকের কাহিনী নিয়ে, আবার কখনও বা চরিত্র নিয়ে। তবে এসব আগে ছিলনা, যখন জন্মভূমি, সুবর্ণলতা, ওগো বধূ সুন্দরী, বউ কথা কও, রাশি ইত্যাদি ধারাবাহিক হত। কিন্তু এখন কেন ট্রোল হয়? বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারে, নাকি লেখিকা দর্শকদের মনের চাহিদা বুঝতে পারছেননা?

দর্শকদের পছন্দ না হওয়ায় তারা ধারাবাহিক গুলো দেখছেন না, ফলে টিআরপি স্কোরও কমে যাচ্ছে, তাই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, বিভিন্ন ধারাবাহিক। এই তো সম্প্রতি আমরা দেখেছি, হঠাৎই বন্ধ হয়ে গেল উমা, মন ফাগুন, আয় তবে সহচরী, বৌমা একঘর, আমার সোনা চাঁদের কণার মত ধারাবাহিক গুলো। কিন্তু কেন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে?

star jalsha run out serial khorkuto

এ বিষয়ে ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস জানান, ‘আগে আমরা জানতাম একটা ধারাবাহিকের ৫০০ পর্ব দেখানো হবে, এটাই সব থেকে নুন্যতম ছিল, কিন্তু বর্তমানে ১০০ তেই শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। এতে হেয়ার, মেকআপ, লাইটের কাজে যুক্ত যাঁরা, তাদের বেশ সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে’। লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, ‘এর মধ্যে একটা ব্যবসা আছে, ধারাবাহিকের টিআরপি কম পেলে আমাকে সরে যেতেই হবে, ব্যবসাই লাভের মুখ না দেখলে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ চালাতে চায়না সেই ধারাবাহিক।

তবে আমার কাছে এটা একটা লড়াই। আমি জেনে বুঝেই এই লড়াইয়ে নেমেছি। কর্পোরেট সংস্থাতেও এই ভাবেই কাজ হয়, ভালো ফল না দিতে পারলে, লক্ষ্যপূরণ না হলে, কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়’। সময়ের আগে শেষ হয়ে যাওয়াতে যেমন টেকনিশিয়ানরা সমস্যায় পড়ে, তেমনই সমস্যায় পড়েন কলাকুশলীরা। কারণ ধারাবাহিক শেষ হওয়ার চার দিন কিংবা এক সপ্তাহ আগে কলাকুশলীদের জানানো হয়, আগে থেকে জানালে তাঁরা শট দিতে রাজি হবেননা।

swastika biswaroop opens up about the serial closure

এ প্রসঙ্গে ‘গৌরী এল’ ধারাবাহিকের নায়ক ঈশান ওরফে বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে একথাটা ঠিক, কিন্তু সবসময় যে এমনটা হবে তা নয়, একটা সময় দেওয়া উচিত ধারাবাহিক বন্ধের আগে। প্রযোজকদের ধারাবাহিক শুরুর পর ধৈর্য ধরতে হবে, একমাস গেল কি না গেল, টিআরপি খারাপ হতেই ধারাবাহিক বন্ধ করে দেওয়া উচিত নয়’।

তবে অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত বলেন, ‘আমার ধারাবাহিক শেষ হওয়ার একসপ্তাহ আগে আমাকে জানানো হয়েছিল। টিআরপির উপরেই ধারাবাহিকের সবকিছু নির্ভর করে। আর এখন একটা কাজ শেষ হওয়ার পর অভিনেতা দের বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়না, প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কাজ পেয়ে যায়’।

আরও পড়ুনঃ এই কারণগুলির জন্যই বাংলা সিরিয়াল থেকে বিমুখ হচ্ছেন দর্শক! TRP তলানিতে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত

ধারাবাহিকের শেষ কথা সবসময় টিআরপির উপর নির্ভরশীল নয়, এ প্রসঙ্গে জি এন্টারটেনমেন্ট এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড ইস্ট ক্লাস্টার হেড সম্রাট ঘোষ বলেন, ‘নির্মাতারা এক ভেবে ধারাবাহিক তৈরি করেন, ভাবেন মানুষের ভালো লাগবে, সেক্ষেত্রে মানুষের ভালো লাগল না, কেন ভালো লাগল না? সেগুলো কি শুধুই টিআরপির উপর নির্ভর করে? না তা নয়, আমরা দর্শকদের মতামত নিই, কোনটা ভালো লাগছে, আর কোনটা ভালো লাগছেনা, তার কারণ বিস্তারিত জেনেই তবে সিদ্ধান্ত নিই’।

Related Post