স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’ (Kamala O Sriman Prithviraj)। তথাকথিত তৎকালীন ছবি এই ধারাবাহিকে নেই, ধারাবাহিকে রয়েছে ইংরেজ আমলের দস্যিপনায় ভরা একটা কাহিনী। যেখানে নেই কোনো কূটকাচালি, নেই কোনো পারিবারিক দ্বন্দ্ব, নেই কোনো পরকীয়া। দর্শকরা বেশ আনন্দের সহিত দেখছেন। গত ১৩ ই মার্চ থেকে সোম-রবি সন্ধ্যা ৬:৩০ তে শুরু হয়েছে এই ধারাবাহিক।
যারা ধারাবাহিক দেখেন তারা জানেনই কমলা একজন শান্ত শিক্ষিত মেয়ে, আর তার সাথে বিয়ে হয় পৃথ্বীরাজের। পৃথ্বীরাজ একেবারে দস্যিপনায় ভরা একটা ছেলে। আর এই দস্যিপনায় ভরা ছেলেকে সোজা করতেই শ্রীমানের বাবা কমলার সাথে বিয়ে দেন। কিন্তু শ্রীমান আর সোজা হয়না, ফুলশয্যার রাতেও শ্রীমান আবারও দস্যিপনা করে। শুধু তাই নয়, সেই সময়কার নারী স্বাধীনতার হস্তক্ষেপের দিকগুলিও তুলে ধরা হয়েছে।
সেই সময়ে শিক্ষা ছিল ১ জনকে খুন করার সমান। আর সেই দিকটাও ফুটে উঠেছে এই ধারাবাহিকে। সম্প্রতি একটি প্রোমো ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে কমলা ইংরেজি গান গাইতে, আর তাই দেখে সকলেই অবাক হয়ে যান। কমলা জানায়, এই গান মেমসাহেবের থেকে শিখেছে। এরপর তাঁর শাশুড়ি জিজ্ঞেস করে লেখাপড়া? তখন কমলা জানায় হ্যাঁ। এরপর তাঁকে বলে ‘লেখাপড়া করলে বর মরে যায় জানিসনে। এরপর দেখা যায় ইংরেজি গান করার অপরাধে কমলার মাথায় গোবর ঢেলে প্রায়শ্চিত্ত করায়।
এই দেখে শ্রীমান প্রতিবাদ জানিয়ে বলে, ‘আমার অরেঞ্জকে গোবর খাওয়াবে, দ্যাখো আমি কী করি’। এই প্রোমো দেখে এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘উনবিংশ শতাব্দীর মেয়েদের সামাজিক ও পারিবারিক অবস্থান তুলে ধরেছে কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ ধারাবাহিকে। এই গল্পে একটু হলেও সেই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে যে শুধুমাত্র নারী হয়ে জন্মানোর জন্য। নারীদের কোন চোখে দেখা হয়।
অবশ্য এই সময়ের আরও আগে মেয়েদের অবস্থান আরও শোচনীয় ছিলো। যা আমরা প্রবন্ধ,উপন্যাসের দৌলতে জেনেছি। কিন্তু এই গল্পে দেখানো হবে কিভাবে কমলা ও মানিক একে অপরের পাশে থেকে সমাজের এসব গোঁড়ামি ও কুসংস্কার প্রথাকে ভেঙে নবজাগরনের সৃষ্টি করবে। তো অকারণে কেউ বলবেন না গল্পে কুটকাচলী দেখানো হচ্ছে ,এসব কিন্তু এক সময়ের বাস্তব চিত্রই’।