প্রতিটি চ্যানেলের অবস্থা খারাপ। কারণ তারা এমন সব ধারাবাহিক আনছে, যেগুলোর কাহিনী দর্শকদের ভালো লাগছে না। কিছুদিন ধারাবাহিক গুলো চলে, তারপর আসল কাহিনী থেকে বেড়িয়ে গিয়ে দেখানো হয়, পারিবারিক কূটকাচালি, পরকীয়া, বৌমা-শাশুড়ির দ্বন্দ্ব। এই সবকিছুতে পরিপূর্ণ ধারাবাহিক গুলো। আর তাই কমে যাচ্ছে ধারাবাহিকের টিআরপি। দর্শকরাও সিরিয়াল বিমুখ হচ্ছেন। তাই স্নেহাশীষ চক্রবর্তী নতুন কিছুর সন্ধানে ছিলেন। যার ফলস্বরূপ তার নতুন ধারাবাহিক ‘মাধবীলতা’ (Madhabilata)।
এই ব্যাপারটা নিয়ে একটু ভাবছিলেন ব্লুজের কর্ণধার স্নেহাশীষ চক্রবর্তী (Snehasish Chakraborty)। তিনি কখনোই চাননি, ধারাবাহিকে এমন একঘেয়েমি থাকুক। তাই তিনি চাইছিলেননা নতুন ধারাবাহিক বানাতে। সেরকম প্লট পাচ্ছিলেন না। তিনি চেয়েছিলেন একঘেয়েমি থেকে মুক্তিত বাংলা ধারাবাহিক বানাতে। কারণ এর আগেও তিনি যেসব ধারাবাহিক বানিয়েছেন, সবটাতেই রয়েছে একটা নিটোল গল্পের আধাঁর।
প্রতিটি ধারাবাহিকের রয়েছে সুন্দর নিটোল কাহিনী। তাঁর কাছ থেকে মানুষ উপহার পেয়েছে, ‘তুমি রবে নীরবে’, ‘জড়োয়ার ঝুমকো’, ‘যমুনা ঢাকি’, ‘রাখী বন্ধন’ সহ আরও অনেক ধারাবাহিক। এই প্রতিটি ধারাবাহিকের রয়েছে একটা গল্প। বোবা মেয়ের কাহিনী নিয়ে তুমি রবে নীরবে, গয়নার কাহিনী নিয়ে ‘জড়োয়ার ঝুমকো’, একজন ঢাকির মেয়ের জীবনযাত্রা নিয়ে লিখেছেন ‘যমুনা ঢাকি’। ভাইবোনের সম্পর্ক নিয়ে লিখেছেন রাখী বন্ধন।
তারপর তিনি বানিয়েছিলেন ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’, ‘জীবন সাথী’, ‘সর্বজয়া’, ‘বরণ’ কিন্তু এইসব ধারাবাহিকে সেই কূটকাচালি চলে আসছিল। তাই তো যমুনা ঢাকির পর আর তিনি ধারাবাহিক করতে চাননি। তিনি চেয়েছিলেন এমন ধারাবাহিক শুরু করতে, যার নির্দিষ্ট গল্প থাকবে। আর তাই তিনি শুরু করলেন ‘মাধবীলতা’ ধারাবাহিক।
প্রকৃতিকে বাঁচাতে একটা মেয়ের লড়াই। সবুজকে বাঁচানোর বার্তা দিতে চেয়েছেন পরিচালক। পরিচালক জানান, ‘আমি ধারাবাহিক করা ছেড়েই দিয়েছিলাম। কারণ বর্তমানে ধারাবাহিকের গল্প মানুষের মন কাড়ছেনা। সব ধারাবাহিকের এক গল্প, তাই মানুষ ধারাবাহিক দেখার আগ্রহটায় হারিয়ে ফেলছে।
আর তাই আমি ধারাবাহিক তৈরি করা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম। তবে এই মাধবীলতা একজন বাস্তব মেয়ের গল্প। পরিচালক জানান, ‘আমি ওড়িশায় এরকমই একটা মেয়েকে দেখেছিলাম, আর তাঁকে নিয়েই আমার এই নতুন কাহিনী’। প্রসঙ্গত বর্তমান পরিবেশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি বিচার করলে গাছ বাঁচানোটা মানুষের ভীষণ ভাবে প্রয়োজনীয় একটি কর্তব্য। বাঁচতে গেলে গাছেদেরকেও বাঁচতে দেওয়া সমান জরুরি।