বিনোদন শব্দটা আমাদের সকলের কাছেই বেশ পরিচিত। তবে বর্তমান সময়ের রুপোলি পর্দার বা টেলিভিশনের সিরিয়াল বা বিচিত্রানুষ্ঠান নয় বরং বিনোদনের ইতিহাস আরও অনেক গভীর। আসলে আজ থেকে কয়েক দশক আগেও বাঙালিদের কাছে বিনোদন মানে ছিল নাটক, যাত্রা ও থিয়েটার। আজ আধুনিকতার ভিড়ে সেই থিয়েটার বা নাটক আজ অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে। তবে এখনও কিছু প্রতিভাবান শিল্পীরা রয়েছেন যারা দুর্দান্ত ভাবে বাঁচিয়ে রেখেছেন থিয়েটার ও নাটককে।
সম্প্রতি যোগেশ মাইম একাডেমিতে নেতাজীনগর সরস্বতী নাট্যশালা মঞ্চস্থ করল মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের অন্যতম সেরা নাটক ” কাল বা পরশু “। বাংলা থিয়েটার যোগ্যতার এক নায়ক মোহিত চট্টোপাধ্যায়। বাংলা থিয়েটার যখন নতুনভাবে বিকশিত হবার জন্য উপায় খুঁজছিল, সেই সময় থিয়েটারকে একপ্রকার নতুন প্রাণ খুঁজে দিয়েছেন তিনি।
প্রায় এক ঘন্টার এই নাটকের বিষয়বস্তু বহুকাল আগে লেখা হলেও বর্তমান সময়ের সাথে বড় প্রাসঙ্গিক। কিভাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে মানুষ। নির্দেশক জয়েশ ল এর পরিবেশনায় এই নাটক আলাদা মাত্রা পেয়েছে। নাটকের জন্য আর্থিক সহায়তা করেছে সংগীত নাটক একাডেমি, ভারত সরকার। এছাড়াও নাটকের মঞ্চ সজ্জায় অভিজিৎ নস্কর থেকে আলোকসজ্জা বাবলু সরকার ও রূপসজ্জার জন্য ইব্রাহিম শেখ সহ আবহ প্রক্ষেপনে সন্দীপ মুখার্জীর অবদানও অনস্বীকার্য।
গত ৯ ই জুলাই যোগেশ মাইম একাডেমিতে সন্ধ্যা ৬ টায় নেতাজীনগর সরস্বতী নাট্যশালা মঞ্চস্থ করেছে মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের অন্যতম সেরা নাটক ” কাল বা পরশু ” । চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক, নাটকের বিষয় সংক্ষেপ ও অভিনেতা অভিনেত্রীদের পরিচয়।
দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করতে করতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে দেশের আম জনতা।আসলে তারা দেশের বিকৃত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একটা বিকৃত প্রতিশোধ নিতে চাইছিল যেখানে সেখানে আগুন লাগিয়ে। বেকারত্বের জ্বালা, শিক্ষার নামে ভাওতাবাজি আর রাজনৈতিক নেতাদের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি। আজ তাদের এই পথে নিয়ে আসতে বাধ্য করেছে।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রেরত অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা হলেন নিম্নরুপঃ
তাপস বোস – ব্রতীন গঙ্গোপাধ্যায়
তাপস বোসের স্ত্রী – শ্রীমতী মুখার্জী
ডাক্তার – দীপক চক্রবর্তী
প্রথম ছেলে – আরুষ দও
দ্বিতীয় ছেলে – জয়েশ ল
তৃতীয় ছেলে – আদিত্য মজুমদার
চতুর্থ ছেলে – দেবকান্তি মহাদানি
পঞ্চম ছেলে – সন্দীপ পাকড়াশি
ষষ্ঠ ছেলে – সৌরজিৎ বসু
সপ্তম ছেলে – বিরাজ চক্রবর্তী