বিশ্বের দরবারে সেরা ১০ এর তালিকায় তিন বাঙালী পরিচালকের নাম! আবেগতাড়িত গোটা বাংলা

সব দেশের থেকে ভারত আলাদা। সেটা জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ঐতিহ্য, ইতিহাস, আবিষ্কার সব ক্ষেত্রেই ধরা পড়ে। তাই তো ভারত আলাদা। এই ভারতেই যেমন রয়েছে বিভিন্ন

Saranna

names of three bengali directors in the fipresci

সব দেশের থেকে ভারত আলাদা। সেটা জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ঐতিহ্য, ইতিহাস, আবিষ্কার সব ক্ষেত্রেই ধরা পড়ে। তাই তো ভারত আলাদা। এই ভারতেই যেমন রয়েছে বিভিন্ন জাতি, বিভিন্ন ধর্মের মানুষ তেমনই রয়েছে বিখ্যাত সব আবিষ্কারকের জন্মস্থান। কি নেই এই ভূ-ভারতে। এই কারণেই সবসময় আলোচনার শীর্ষে অবস্থান। বিদেশের কাছেও ভারত শীর্ষে।

সম্প্রতি ইন্টারন্যাশানাল ফেডারেশন অফ ফিল্ম ক্রিটিক (International Federation of Film Critics) ভারতের সেরা ১০ টি ছবির তালিকা প্রকাশ করল। আর এই সেরা ১০ টি ছবির তালিকায় রয়েছে তিন বাঙালি পরিচালকের সিনেমা। যা দেখে আবেগতাড়িত গোটা বাংলা। সেরা ১০ টি ভারতীয় ছবি হল, সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) সিনেমা ‘পথের পাঁচালী’ (১৯৫৫), ঋত্বিক ঘটকের (Ritwik Ghatak) সিনেমা ‘মেঘে ঢাকা তারা’ (১৯৬০), মৃণাল সেনের (Mrinal Sen) সিনেমা ‘ভূবন সোম’ (১৯৬৯)।

satyajit ray

আদুর গোপালকৃষ্ণণের মালয়ালাম সিনেমা ‘এলিপ্পাথায়াম’ (১৯৮১), গিরিশ কাসারাভাল্লির ‘ঘাটশ্রাদ্ধ’ (১৯৭৭), এম এস সথ্যুর ‘গরম হাওয়া’ (১৯৭৩), সত্যজিৎ রায়ের ‘চারুলতা'(১৯৬৪), শ্যাম বেনেগালের ‘অঙ্কুর'(১৯৭৪), গুরু দত্তের ‘পিয়াসা’ (১৯৫৭), রমেশ সিপ্পির ‘শোলে’ (১৯৭৫)।

এই ১০ ভারতীয় ছবির মধ্যে তিন বাঙালি পরিচালকের নাম। সত্যিজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক ও মৃণাল সেন। প্রথমেই রয়েছে সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আম আঁটির ভেপু’ উপন্যাস থেকে নেওয়া। যা ভারতীয় সিনেমা জগতে উজ্জ্বল তম স্থান অধিকার করে রয়েছে। এরপরই রয়েছে সত্যজিৎ রায়ের আরও একটি সিনেমা ‘চারুলতা’।

mrinal sen

এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নষ্ট নীড়’ গল্প অবলম্বনে রচিত। এই ছবির গান এখনও মানুষের কাছে সমান ভাবে জনপ্রিয়। শুধু গান নয়, ছবিটিও বেশ জনপ্রিয়। এরপরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঋত্বিক কুমার ঘটকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’। শক্তিপদ রাজগুরুর উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল এই ছবি। বিংশ শতকের পাঁচের দশকে কলকাতার এক বাঙালি পরিবারের কাহিনী ফুটে উঠেছে এই ছবিতে।

ritwik ghatak

এরপরই রয়েছে মৃণাল সেনের ‘ভুবন সোম’। বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় অর্থাৎ বনফুলের গল্প অবলম্বনে রচিত এই সিনেমা। এই সিনেমাকে ভারতীয় নিউ ওয়েভ সিনেমার পথিকৃৎ বলা হয়। সত্যিই সবসময় সবকিছুতেই রয়েছে এই ভারতের নাম, বিশেষ করে এই তিন বাঙালী পরিচালকের নাম দেখে আবেগতাড়িত গোটা বাংলা।

Related Post