মাত্রাতিরিক্ত ভিড়, দমবন্ধকর পরিস্থিতি! কেকের মৃত্যুর পর উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

কলকাতায় আসার পরেও দিব্যি সুস্থই ছিলেন সকাল থেকে অনুষ্ঠানের মহড়া দিয়ে গেছেন। একজন শিল্পী তার গান দিয়ে শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখবেন এটাই তো তার কর্তব্য। কেকের

Desk

nazrul mancha staff says what the situation there on 31st may night

কলকাতায় আসার পরেও দিব্যি সুস্থই ছিলেন সকাল থেকে অনুষ্ঠানের মহড়া দিয়ে গেছেন। একজন শিল্পী তার গান দিয়ে শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখবেন এটাই তো তার কর্তব্য। কেকের কলকাতার সফরসঙ্গী ভাবতেই পারছেননা যে কেকে আর নেই। তিনি আরও বলেন একজন শিল্পী গানের মাঝেই চলে গেলেন এর থেকে বড়ো পাওনা আর তার জীবনে কি হতে পারে। যে মানুষটার কাছে গানটাই সব শেষ দিনেও সেই গান দিয়ে মন কাড়লেন সকলের।

তার অকতস্মাৎ মৃত্যুর খবরে স্তব্ধ সকলে। আজ অর্থাৎ বুধবার তার পরিবার মুম্বাই থেকে আসার কথা তাকে শেষবারের জন্য নিজের শহরে নিয়ে যেতে। একমুহূর্তে সবকিছু বদলে গেলো। কখনও কি তিনি নিজেও ভেবেছিলেন এই কনসার্ট তাই তার জীবনের শেষ। অতিরিক্ত গরমে শারীরিক কষ্ট হচ্ছিলো গায়কের তবুও তিনি গান গেয়ে গেছেন ঠিকই। আসলে গান না গাইতে পারলে যে শ্রোতারা কষ্ট পাবেন। শিল্পী কিকরে তা মেনে নেবেন।

কেকের মৃত্যু নিয়ে কি বললেন নজরুল মঞ্চের কর্মচারী (after KK die Nazrul mancha Staff says about Last Night situation of auditorium)

নজরুল মঞ্চের এক কর্মচারীর কথায়। আগামীকাল অর্থাৎ ৩১ শে মে মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে ভিড় উপচে পড়েছিল। তার কথামতো সেইদিনের মতো ভিড় তিনি তার কর্মজীবনের ১২ তা বছরে কখনও দেখেননি। মঞ্চের সর্বমোট ৫ টি গেট ভিড় আটকাতে না পাড়ায় সবকটি গেটই খুলে রাখতে হয়েছিল। চারিদিকে শুধুই অসংখ্য মাথার ভিড়। আর এত ভিড়ে স্বাভাবিক ভাবেই এসি গুলো কাজ করছিলো না। গেট খুলে থাকায় ভিতরে ঠান্ডার পরিবেশ গড়ে উঠতে পারছিলো না।

গায়ক ওই দিন গান গাইতে গাইতে বেশ কয়েকবার ব্যাকস্টেজে তাকে ঘাম মুছতে দেখা গেছে কিছু ভিডিওতে। তিনি স্টেজের লাইট কিছু কম করার জন্যও নাকি বলেছিলেন অতিরিক্ত গরমের কারণে। অবশেষে এড়ানো গেল না দুর্ঘটনা। গাড়িতে করে হোটেলে ফিরতে ফিরতেই গায়ক টের কলকাতার সফরসঙ্গীকে বলেন তিনি অসুস্থ বোধ করছেন। খুব ঠান্ডা লাগছে তার।

আরও পড়ুনঃ ভক্তরা খোঁজ নিতেননা! একসময় সেলসম্যানের কাজ করতে হয়েছে প্রয়াত গায়ক কেকে কে

আরও পড়ুনঃ আপনার মন খুব সংকীর্ণ! রূপঙ্কর বাগচীর পোস্ট ঘিরে কটাক্ষ অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্রের

ওই দিন অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফেরার পরও যখন গায়ককে সকলে ঘিরে ধরেছিলেন তিনি তার শারীরিক অস্বস্তির কারণে তাদের বাধ্য হন মানা করতে। গায়কের সফরসঙ্গীর কথায় এই প্রথম তিনি তার ভক্তদের কিছুতে না করতে বাধ্য হন। তারপর যখন হোটেলে ফায়ার ফ্রেশ হয়েও স্বস্থি পাচ্ছিলেননা তাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি চলে গিয়েছেন না ফেরার দেশে। তার আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করেছেন অনেক গায়ক ও তারকারা।

Related Post