ইয়াং শাশুড়ি জিন্দাবাদ! পরিবার জুড়তে ঝিলমিলের বুদ্ধির প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনুরাগীরা

জী বাংলার (Zee Bangla) চর্চিত সিরিয়াল গুলির মধ্যে একটি হল ‘তোমার খোলা হাওয়া’ (Tomar Khola Hawa)। এই সিরিয়ালের গল্প বাকি সিরিয়াল গুলির তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন।

Nandini

in tomar khola hawa netizen praised jhilmil for her initiate to reunite family members

জী বাংলার (Zee Bangla) চর্চিত সিরিয়াল গুলির মধ্যে একটি হল ‘তোমার খোলা হাওয়া’ (Tomar Khola Hawa)। এই সিরিয়ালের গল্প বাকি সিরিয়াল গুলির তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন। এখানে একটা মেয়ের স্ত্রী হওয়ার সাথে সাথে শাশুড়ি হয়ে ওঠার গল্পটাও বলা হয়েছে। একটা মেয়ের সংসারে থেকে নিজেকে প্রমান করার গল্প বলা হয়েছে। এই গল্প বাংলা বিনোদনের পর্দায় নতুন হলেও হিন্দি বিনোদনের পর্দায় এই গতের ধারাবাহিক আগেই দেখা গাছে।

সেই গল্পের ছোঁয়াতেই বাংলায় শুরু হয়েছে তোমার খোলা হাওয়া ধারাবাহিকটি। এই সিরিয়ালে বাকি অন্যান্য ধারাবাহিকের মত নায়ক নায়িকাই সব নয়। একটা পরিবারের গল্পও আছে। একটা হাসিখুশি পরিবারের পিছনে লুকিয়ে থাকা কিছু স্বার্থপর মন আছে। ঝিলমিল এখন তিন বৌমার শাশুড়িমা। ইয়াং শাশুড়িমা।

in tomar khola hawa netizen praised jhilmil for her initiate to reunite family

 

তবে সে কিন্তু পরিবারকে বেঁধে রাখতে মন প্রাণ এক করে দিয়েছে। সে যে নিজের শাশুড়িকে কথা দিয়েছে তার পরিবারকে ভাঙতে দেবেনা কখনও। তাই ঝিলমিল যথাসাধ্য চেষ্টা করে চলেছে নিজের পরিবারকে সব ছেলে বৌমাদের এক সুতোয় বেঁধে একসাথে পথ চলতে। যেখানে অন্যান্য ধারাবাহিকে কিছু শাশুড়িকে দেখা যায় ছেলের ঘর ভাঙতে উঠে পরে লেগেছেন। বৌমার বন্ধু হয়ে ওঠা তো দূরের কথা।

সম্প্রতি, আবিরের তিন ছেলে ও ছেলের বউরা সম্পত্তি ভাগের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। যদিও সবাই এটা চায়না। তবে ভাগ হলে কেউই পিছিয়ে থাকবেনা। আর সম্পত্তি ফাটল ধরাতে শুরু করেছে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে। তবে ঝিলমিল প্রথমে সোজা পথে সবটা ঠিক করতে চাইলেও যখন দেখলো কিছুই ঠিক হচ্ছেনা বরং আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ঝিলমিল নিয়েছে তাই এক অভিনব পন্থা।

netizen praised jhilmil for her initiate to reunite family in tomar khola hawa

আর ঝিলমিলকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছে আবির। সৃজার মা সম্পত্তির ভাগ চেয়েছে মেয়ের জন্য। তার সাথে সে জানিয়েছে মেয়ে আর ওই বাড়িতে থাকবেনা। কিন্তু পাবলো সৃজার সাথে বাড়ি ছেড়ে যেতে রাজি নয় আর তাই সৃজা পাবলোর ডিভোর্সের কোথাও উঠেছে। তবে ঝিলমিল সেটা হতে দেবেনা তাই সে নিজের বুদ্ধিতে আটকাতে চাইছে সৃজাকে।

এমনকি আবিরের মেজো ছেলে সেও চায় তার পুরোনো প্রেমিকাকে বিয়ে করতে, ঝিলমিল তার কাঁধে দায়িত্ত্ব তুলে নিয়েছে একজন বন্ধু, বৌমা, যোগ্য শাশুড়ি হয়ে ছেলে বউদের সে আটকাবেই। তাদের চোখের অন্ধকার সে সরিয়ে দেবেই। পরিবারের ভালোবাসা সে তাদের হারাতে দেবেনা। এমনকি পরিবারকে ভাঙতে চাইলেও সে ভাঙতে দেবেনা। দর্শক ঝিলমিলের এই মনোভাবে বেশ খুশি হয়েছেন। ঝিলমিলের অভিনব পন্থা প্রশংসিত নেটপাড়ায়।

Related Post