স্ত্রীর প্রতি মহার্ঘ্যর যত্ন ফেরালো ‘সৌগুন’ এর স্মৃতি! ‘বালিঝড়ে’র পর্ব মুগ্ধ করলো দর্শককে

স্টার জলসার (Star Jalsha) পর্দায় শুরু হওয়া নতুন ধারাবাহিক গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ধারাবাহিক হল ‘বালিঝড়’ (Balijhor)। দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তারা নিয়ে এসেছে সৌগুণ

Saranna

netizen praised maharghya for took care of jhora in balijhor

স্টার জলসার (Star Jalsha) পর্দায় শুরু হওয়া নতুন ধারাবাহিক গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ধারাবাহিক হল ‘বালিঝড়’ (Balijhor)। দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তারা নিয়ে এসেছে সৌগুণ জুটিকে। এনেছেন দর্শকদের পছন্দের লালনকে। এই তিনজনকে দেখে বুঝতে অসুবিধা হয়না, ধারাবাহিকটি একটি ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনী।

লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা এই ধারাবাহিকে দেখা যায়, স্রোত, ঝোড়া আর মহার্ঘ্য এই তিনজনের গল্প। স্রোত যে কিনা সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। ঝোড়া যে কিনা বড়লোক বাবার মেয়ে হয়েও, নিজের পছন্দের গন্ডি সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ। অন্যদিকে মহার্ঘ্য যে কিনা উঁচু মানুষ। একটা স্টান্ডার্ড মানুষ। বড় পলিটিশিয়ানের আদর্শে তৈরি তাঁর ব্যক্তিত্ব। একেবারে পলিটিশিয়ানের হাতে গড়া।

in balijhor netizen praised maharghya for took care of jhora

এমতাবস্থায় ঝোড়ার (তৃণা সাহা) যেহেতু পছন্দ সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ। তাই সে পছন্দ করে সাধারণ মানুষ স্রোতকে (ইন্দ্রাশিষ রায়)। কিন্তু ঝোড়ার বাবা বড় পলিটিশিয়ান। তাই তার বাবা সমুদ্র সেন পছন্দ করেন তার আদর্শে তৈরি মহার্ঘ্যকে (কৌশিক রায়)। তাই মেয়ের বিয়ে দেন এই আদর্শবান ছেলের সাথে। ঝোড়ার অনিচ্ছার সত্ত্বেও এই বিয়ে হয়। মহার্ঘ্য জানে ঝোড়া ভালোবাসে স্রোতকে।

মহার্ঘ্যকে সে কোনোদিনও মেনে নিতে পারবেনা। সবসময় মহার্ঘ্যকে কথা শোনায়, খারাপ ব্যবহার করে। আর তাই সে ঝোড়াকে ফেরাতে উদ্যত। তবে সাম্প্রতিক পর্বে দেখা যায়, ঝোড়াকে নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছে মহার্ঘ্য। আর তা দেখে বেশ খুশি দর্শকরা। কারণ তারা ফিরে পেয়েছেন সৌগুণ জুটিকে। আর তাই ঝোড়া আর মহার্ঘ্য জুটিকেই বরাবর দেখতে চাইছে। তাই অনুরাগীরা এই জুটির নাম দিয়েছেন ঝোরার্ঘ্য!

মহার্ঘ্যর খাইয়ে দেওয়া দেখে, এক অনুরাগী বলছেন, ‘সত্যি কারের ভালোবাসা বোধহয় এটাকেই বলে ভালোবাসার প্রকৃত অর্থ হলো কাউকে সম্পূর্ণ রূপে বুঝতে পারা যেটা মহার্ঘ্য ঝোরাকে বোঝে। সম্পূর্ণ রূপে সব দিক থেকে ঝোরাকে বোঝে মহার্ঘ্য। ওপরদিকের মানুষটার খিদে পেলে তার জন্য খাবার এনে তাকে নিজের হাতে খাইয়ে দেওয়া। ঝোরা নিজের যে খিদে পায় সেটাই বুঝতে পারে না নিজেকেই নিজে বোঝে না’।

Related Post