‘প্রত্যেক বছর একজনই দূর্গা, দর্শকের ইচ্ছার কোনো মূল্য নেই?’! মহালয়ার প্রোমো দেখে ক্ষুব্ধ দর্শক

দূর্গাপূজা মানেই মহালয়া। আর মহালয়া মানেই মহিষাসুরমর্দিনী। আর মহিষাসুরমর্দিনী মানেই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। তবে আধুনিকতার সাথে সাথে এই পছন্দ টা একটু হলেও পাল্টেছে। এখন মানুষ টিভিতেই

Saranna

netizens are angry to see subhasree ganguly as durga

দূর্গাপূজা মানেই মহালয়া। আর মহালয়া মানেই মহিষাসুরমর্দিনী। আর মহিষাসুরমর্দিনী মানেই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। তবে আধুনিকতার সাথে সাথে এই পছন্দ টা একটু হলেও পাল্টেছে। এখন মানুষ টিভিতেই মহিষাসুরমর্দিনী দেখেন। নতুন অজানা কাহিনী নিয়েই শুরু হয় এই মহিষাসুরমর্দিনী। 

এই মহিষাসুরমর্দিনী আমাদের প্রতিদিনকার বিনোদনমূলক ধারাবাহিক চ্যানেলগুলোতে পরিবেশিত হয়। আর প্রত্যেক চ্যানেলগুলোতে প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা অভিনেত্রীকে দেখা যায় দেবী দূর্গার ভূমিকায়। এই যেমন এবারের মহিষাসুরমর্দিনীতে কালার্স বাংলার পর্দায় দেবী দূর্গার রূপে দেখা মিলবে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে (Rituparna Sengupta)। জি বাংলার পর্দায় মা দূর্গার ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলীকে (Subhashree Ganguly)।

subhasree ganguly as durga

স্টার জলসার পর্দায় মা দুর্গার অবতারের অভিনয় করতে দেখা যাবে সোনামণি সাহাকে (Sonamoni Saha)। স্টার জলসার মহালয়াকে নাম দেওয়া হয়েছে, ‘যা চন্ডী’। কালার্স বাংলার মহালয়াকে নাম দেওয়া হয়েছে, ‘দেবী দশমহাবিদ্যা’। আর জি বাংলার মহালয়াকে নাম দেওয়া হয়েছে, ‘সিংহবাহিনী ত্রিনয়নী’। সম্প্রতি সব চ্যানেলগুলোতেই প্রকাশ্যে এসেছে এই মহিষাসুরমর্দিনীর প্রোমো ভিডিও। 

এই ভিডিও দেখে অনেকেই করছেন ট্রোল। দেবী দূর্গার ভূমিকায় ঋতুপর্ণাকে দেখে অনেকেই অভিনেত্রীকে ট্রোল করেছেন। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, বুড়ি দূর্গা। আবার অনেকে বলছেন, দূর্গার জন্য আর কাউকে পেল না। এরপরেই এবার ট্রোলের মুখে পড়লেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী। 

অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলীকে দূর্গা রূপে দেখে ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা। তাদের দাবি বারবার একই দূর্গা? আসলে গত বছরেই জি বাংলার মহিষাসুরমর্দিনীতে মা দুর্গা রূপে তাঁকে দেখানো হয়েছিল। আর আবার এই বছরেও সেই একজনই দূর্গা। আর এই দেখেই ক্ষুব্ধ নেট নাগরিক। এক নেট নাগরিক লিখেছেন, ‘মা দুর্গার শাড়ির রং ছাড়া কি আর ‘Zee Bangla’ কিছু পাল্টাবে না? আর এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘জি বাংলার জাতীয় দূর্গা শুভশ্রী গাঙ্গুলী।’

আর একজন চ্যানেল কর্তৃপক্ষের উপর রেগে গিয়ে লিখেছেন, ‘আচ্ছা প্রত্যেক বছর এক জনকে ভালোলাগে দুর্গা করতে? একটু আলাদা স্বাদ নিয়ে আসুন না। শুভশ্রী দি অবশ্যই ভালো তবে বিশ্বাস করুন মানুষ নতুন কিছু চায়। আর আপনারা শুধু টিআরপির জন্য নিজেদের ইচ্ছা মতো করেন। মানুষের চাওয়া পাওয়ার কোন মূল্য নেই’।

Related Post