সবকিছুর যেমন বিভাগ থাকে, তেমনই ধারাবাহিকেরও বিভাগ থাকে। সব ধারাবাহিক কিন্তু একই শ্রেণীতে পড়ে না। কোনো ধারাবাহিক হয় পারিবারিক কেন্দ্রিক, আবার কোনো ধারাবাহিক হয় অনান্য ঘটনা কেন্দ্রিক বা অন্যান্য বিষয় কেন্দ্রিক। কখনো দেখা যায় বিভিন্ন ব্যাক্তিত্বদের জীবনী নিয়ে বাংলা ধারাবাহিক, আবার কখনো দেখা যায় খেলা বা একস্ট্রা কারিকুলামের উপর ধারাবাহিক।
আর তাই বাংলার ধারাবাহিক চ্যানেলে আসছে বক্সিং নিয়ে ধারাবাহিক। একটা চ্যানেলে নয়, দু দুটো চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে বক্সিংয়ের ধারাবাহিক। জি বাংলায় আসছে ফুলকি (Phulki), এই ধারাবাহিক কিন্তু বক্সিং নিয়ে। অন্যদিকে আবার সান বাংলাতেও (Sun Bangla) আসছে নতুন ধারাবাহিক বক্সিং নিয়ে। এর আগে এরকম একই ধারাবাহিক ভিন্ন চ্যানেলে আসতে দেখা গেছে। আবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সান বাংলায় আসছে ‘বিয়ের ফুল’ (Biyer phool)।
যারা ধারাবাহিক নিয়মিত দেখেন তারা জানবেনই অনেক ধারাবাহিক শুধুই যে পারিবারিক কাহিনী বা প্রেম নিয়ে ধারাবাহিক শুরু হয়েছে তা কিন্তু নয়। ধারাবাহিকের কাহিনীতে খেলা বা একস্ট্রা কারিকুলাম দেখা গেছে। এই যেমন দেখা গেছে ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, জিমন্যাস্টিকস, নাচ আরও কত কি। কিন্তু পর্দায় দেখা যায়নি বক্সিং এর ধারাবাহিক।
জি বাংলাতেও দেখা গিয়েছিল বাংলার প্রথম মহিলা ডাক্তার কাদম্বিনী গাঙ্গুলীর জীবন নিয়ে ধারাবাহিক, অন্যদিকে স্টার জলসাতেও দেখা গিয়েছিল কাদম্বিনী গাঙ্গুলীর জীবন নিয়ে কাহিনী। এবারও তাই দেখা গেল। তবে দুটোর নায়ক নায়িকা আলাদা, দুটোর হেডলাইনও আলাদা। কিন্তু হেডলাইন আলাদা হলে কি হবে, দুটো ধারাবাহিকের একটাই সূত্র। নারী মানেই বাসন মাজবে, কাজ করবে, ঘর সামলাবে, আর পুরুষ মানেই সে বাইরে থাকবে খেলাধূলা করবে, শক্ত রাশভারী চরিত্রের অধিকারী।
এই গতানুগতিক চিন্তাধারা থেকে এগিয়ে গিয়ে, পিছনে ফেলে রেখে এসে দেখা যাবে, মেয়েরা যে হাত দিয়ে সংসার চালায়, সেই হাত দিয়েই পুরষতান্ত্রিক কাজ করতে সক্ষম। এই হল ধারাবাহিকের মূলমন্ত্র। সান বাংলায় নায়ক নায়িকা হিসেবে দেখা যাবে লক্ষী কাকিমা খ্যাত দুলাল ওরফে শৌভিক ব্যানার্জী ও একতা গাঙ্গুলী। অন্যদিকে ফুলকি ধারাবাহিকে দেখা যাবে অভিষেক বসু ও দিব্যানি মন্ডলকে।