১০০ বছরে একবার! জেনে নিন পুষ্টিগুণে ভরপুর সবুজ বাঁশের চাল সম্পর্কে

আমাদের কৃষি প্রধান দেশে ধান উৎপাদন হয় ব্যাপক পরিমানে। আমাদের দেশে প্রায় ৬০০০ এরও বেশি প্রজাতির ধান উৎপাদন হয়। ভাত এদেশের বেশিরভাগ মানুষের প্রধান খাবার।

Desk

over 100 years once grow nutritional green bamboo rice

আমাদের কৃষি প্রধান দেশে ধান উৎপাদন হয় ব্যাপক পরিমানে। আমাদের দেশে প্রায় ৬০০০ এরও বেশি প্রজাতির ধান উৎপাদন হয়। ভাত এদেশের বেশিরভাগ মানুষের প্রধান খাবার। ভাতের উপরেই অসংখ্য মানুষ বেঁচে থাকেন। ভাত ছাড়া কিছু মানুষের একদমই চলে না। বিশেষত বেশিরভাগ গ্রামের দিকে ভাতের প্রয়োজন খুব বেশি পরিমানে দেখা যায়। কিন্তু বাঁশের চাল (Bamboo Rice) কখনো খেয়েছেন ?

কিন্তু এই ভাতের মধ্যে থেকেও মানুষ ফিট থাকার রাস্তা ঠিক খুঁজে নেন। কারণ ফিট থাকাই যে সুস্থতার চাবিকাঠি। ভাত খেতেও ভালোবাসেন অথচ প্রচন্ড ভাবে স্বাস্থ্যসচেতন এমন মানুষ জনের সংখ্যাটাও অনেক। আর তারা সাদা চালের ভাত খাননা। তারা খান বাদামি চালের ভাত। আবার আমরা সাদা ভাত খাওয়ার সময় এক চাল ব্যবহার করি আবার খিচুড়ি খেতে আমরাই অন্য চাল ব্যবহার করে থাকি। এভাবেই আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকার চাল ব্যবহার করে থাকি। শরীরের প্রবল উপযোগী একটি চাল এই বাঁশের চাল (Bamboo Rice)।

over 100 years once grow nutritional green bamboo rice

বাঁশের চাল (Bamboo Rice)

আজ আপনাদের এমনই একধরণের চালের কথা জানাবো যার নাম হয়তো অনেকেই প্রথম শুনবেন। বাঁশের চাল বা মুলায়ারি। হ্যাঁ ঠিকই দেখেছেন। নামের মতোই এই চাল দেখতেও হয় একদম সবুজ রঙের। আর এই চালে প্রচুর পরিমানে প্রোটিনও থাকে। তবে এই চাল সম্পর্কে আরও এক বিস্ময়কর তথ্য হলো এই চাল ১০০ বছরে একবার পাওয়া যায়। আর এই চাল বাজারে পাওয়া যায় না বললেই চলে।

একমাত্র অনলাইনেই এই চাল পাওয়া যায়। এই চাল আসলে বাঁশের অঙ্কুর বীজ। যা বাঁশ গাছ বা বাঁশ যখন ৬০ বছর পর মরে যায়। তখন সেই মৃত বাঁশের নতুন করে যে অঙ্কুর হয় সেই বীজটাই বাঁশের চাল। বাঁশের ফুল হতে অনেকটা সময় লাগে আর ওই ফুল থেকেই মূলত এই চাল পাওয়া যায়। এই চালকে মুলায়ারি (Mulayari) চালও বলা হয়। প্রোটিন সমৃদ্ধ এই চাল সাধারণ চালের মতোই রান্না করা যায়। তবে এই চালের স্বাদ মিষ্টি হয়। আর রঙের কারণে রান্নার পর দেখতেও কিছুটা ভিন্ন হয়।

এই চালের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি আদিবাসী গ্রামগুলিতে দেখতে পাওয়া যায়। এই চাল শরীরের ব্যাথার উপশমে খুব উপকারী। কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে এই চাল। এই চাল তৈরী হতে অনেকটা সময় লাগার কারণেই এই চাল বেশি মাত্রায় পাওয়া যায় না। চেন্নাইতে এই চাল ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়।

× close ad