অতিরিক্ত বর্ষার জেরে রেলপথে পাহাড়ের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, আসাম-ত্রিপুরায় ধসে ঝুলছে রেলপথ

প্রবল বৃষ্টির জেরে বিচ্ছিন্ন হলো দক্ষিণ আসাম থেকে ত্রিপুরা যাবার রেলপথ (South Assam to Tripura Railway)। কার্যত জানা যাচ্ছে, আগামী ছয় মাসেরও বেশি সময় লাগতে

Desk

passenger trains south assam to tripura stopped for next six month

প্রবল বৃষ্টির জেরে বিচ্ছিন্ন হলো দক্ষিণ আসাম থেকে ত্রিপুরা যাবার রেলপথ (South Assam to Tripura Railway)। কার্যত জানা যাচ্ছে, আগামী ছয় মাসেরও বেশি সময় লাগতে পারে এই রেলপথ পুণঃনির্মানে। কেবল আসাম রাজ্যই নয়, ত্রিপুরার  রেলপথের যা অবস্থা তাতে ত্রিপুরার সাথে রেলপথে আরো অনেক রাজ্যের সংযোগ বিচ্ছিন্ন আপাতত। রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। বৃষ্টি এখনও কমেনি একটানা প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে রেললাইন পুনরুদ্ধারের কাজেও এখনই হাত লাগানো যাচ্ছেনা।

প্রায় কয়েক সপ্তাহ ধরেই একটানা ভারী বৃষ্টিপাত চলছে আসামের ডিমা হাসাও (Dima hasao) জেলাতে। আর এই প্রবল বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পাহাড়ি রেলপথ তথা উত্তর কাছাড় পাহাড়ঘেরা রেলপথ। ভারী বৃষ্টিতে রেললাইন চাপা পড়ছে পাথরের তলায়। কোথাওবা ভেঙে পড়েছে রেলপথ। দক্ষিণ আসাম থেকে ত্রিপুরা যাবার রেলপথ এর বর্তমানে কার্যত এমনই অবস্থা (South Assam to Tripura Railway)।

passenger trains south assam to tripura stopped for next six months

খবর সূত্রে জানা গেছে, এই প্রবল বৃষ্টির জেরে ২৭ টি এলাকা প্রবল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আসামের গুয়াহাটি (Guwahati) সহ আগরতলা, শিলচর (Silchar), বদরপুরের পাহাড়ি খোলা রাস্তার রেললাইনে ট্রেন চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কোথাও রেলপথে পড়েছে বড়ো বড়ো পাথরের চাঁই তো কোথাও আবার রেলপথের নিচের মাটি ধসে গিয়ে তা ঝুলতে দেখা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এর আগে পাহাড়ি ধসে যা ক্ষতি হয়েছে তার তুলনায় এবারের ক্ষতির পরিমান অনেক।

ওই রেলপথে চলাচলের ট্রেনগুলি আপাতত বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে আগরতলা থেকে পূর্বগামী আগরতলা আনন্দ বিহার রাজধানী এক্সপ্রেস (Agartala Anand Vihar Rajdhani Express), বন্ধ থাকবে দিল্লির আনন্দ বিহার স্টেশন থেকে যাত্রাবাহী রাজধানী এক্সপ্রেস (Rajdhani Express), এছাড়াও আগরতলা বেঙ্গালুরু হামসফর এক্সপ্রেস (Agartala Bengaluru Humsafar Express) চলাচলও আপাতত বন্ধ থাকবে।

এখন অনির্দিষ্টকালের জন্যই এই রেলপথগুলি বন্ধ রাখা হবে। পূর্বগামী রেলপথ (East Railway) পুনরুদ্ধারের কাজ কত তাড়াতাড়ি শুরু করা যাবে সে বিষয়েও এখন স্পষ্ট জানা যাচ্ছে না। প্রবল বৃষ্টির জের এখনো কমেনি। আর বৃষ্টির মাত্রা  না কমলে রেললাইন পুনঃনির্মান সম্ভবপর হবে না। এছাড়াও সূত্রের খবর, রেলের তরফে জানানো হয়েছে ঝুলে পড়া রেলপথগুলির পরিবর্তে অন্য নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হতে পারে।

Related Post