প্রায় সব মানুষই পিঠে খায়। একটা খাক আর দুটো খাক। সবাই মোটামুটি তা খায়। আর যারা পিঠে ভালোবাসে তারা তো, হরেক রকম পিঠা খেতে ভালোবাসে। শুধু যে নারকেল দিয়ে পিঠা হয়, তা তারা নস্যাৎ করে দেয়। নারকেলের পুর ছাড়াও, ডালের পুরের পিঠে, মাছের পুরের পিঠে। এখন পিঠে নিয়েও ফিউশন হয়। এই পিঠের পুরে চকোলেটও দেখতে পাওয়া যায়। এই ফিউশন এবং হরেক রকম পিঠার বর্ণনায় আজ নিয়ে এলাম একটা নতুন ধরনের পিঠে। যা হল পালংশাকের পিঠে (Palak Pitha Recipe)। ভাবতে পেরেছেন কখনো? আসুন জেনে নিন এই রেসিপি।
উপকরণ : পালংশাক, শুকনো চালের গুড়ো, নুন, তেল, গোটা গরম মশলা, তেজপাতা, পিঁয়াজ কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি, আদা, রসুন, ধনে গুড়ো, জিড়ে গুড়ো, গরম মশলা গুড়ো, ম্যাজিক মশলা, টমেটো কেচাপ, চিকেন, কর্ণ ফ্লাওয়ার, ধনেপাতা।
প্রণালী : প্রথমে পালংশাক বেছে নিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ভালো করে শুকনো করে জল ঝাড়িয়ে নিতে হবে। এবার কম আঁচে কড়াই বসান। এর মধ্যে পালংশাক জল ছাড়া ঢাকা দিয়ে সেদ্ধ করতে দিন। যতক্ষণ না পালংশাক থেকে জল বেড়োচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কড়াতেই রাখুন। এরপর শাক ঠান্ডা করে মিক্সিং জারে পেস্ট করে নিন।
এরপর পিঠার ডো বানানোর জন্য, কড়াইতে দিন জল। এই জলের মধ্যে ঢেলে দিন ওই পেস্ট টা। এর মধ্যে নুন আর তেল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ফুটে গেলে এর মধ্যে শুকনো চালের গুড়ো ঢেলে দিন। এরপর কম আঁচে পাঁচ মিনিট রাখুন। এরপর নাড়াচাড়া করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ঝাল পুলি পিঠার ডো।
পিঠের পুর : পিঠের পুরের জন্য, কড়াইতে তেল দিয়ে গোটা গরম মশলা আর তেজপাতা দিন। এরপর দিন পিঁয়াজ কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি, আদা, রসুন, ধনে গুড়ো, জিড়ে গুড়ো, গরম মশলা গুড়ো, ম্যাজিক মশলা দিয়ে মিনিট কয়েক ভাজুন। ভাজার পর এর মধ্যে দিয়ে দিন মাংসের কিমা। এরপর নাড়াচাড়া করে ঢাকা দিয়ে মাংস ভেজে নিন। এরপর ১০ মিনিট হতে দিন। ঢাকা খুলে দিয়ে দিন টমেটো কেচাপ। পিঠের মধ্যে পুর দেওয়ার সময় মাংস যাতে ছড়িয়ে না যায়, তাই এর মধ্যে কর্ণ- ফ্লাওয়ার এর সাথে অল্প জল মিশিয়ে নেড়েচেড়ে নিন কিছুক্ষণ। পুর নামানোর আগে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে নিন।
আগে যে ডো টা তৈরি হয়ে গিয়েছিল, ওটা ভালো করে মেখে বড় লেচি কেটে পাতলা করে রুটির আকারে বেলে নিন। এবার এর মধ্যে বয়ামের ঢাকনা দিয়ে কেটে নিন ছোটো লুচির আকারে। এরপর এর মধ্যে পুর দিয়ে, নানান রকম শেপে এটিকে মুড়ে নিন। এরপর এটিকে তেলে ভাজুন। ব্যস তৈরি হয়ে যাবে গরম গরম ঝাল মুচমুচে পিঠা।