বাংলা ইন্ড্রাস্ট্রির দাপুটে খলনায়িকা অনামিকা সাহা (Anamika Saha)। তাঁর মতো জাদরেল খলনায়িকা খুব কমই দেখা যায়। তাঁকে টিভির পর্দায় দেখলেই ভয়ে কাঁপত সকলে। তাঁকে দেখা যেত কখনও দজ্জাল পিসিমা , কখনো সৎ মা আবার কখনো শাশুড়ি মায়ের ভূমিকায়। সব চরিত্রেই তাঁকে বেশ মানাত। এই শিহরণ জাগানো খলনায়িকা ছাড়াও তাঁকে দেখা গিয়েছে অতুলনীয় সুন্দর ভালো মায়ের ভূমিকায়। ইন্ডাস্ট্রি জীবনে তিনি ৩০০ এর কাছাকাছি সিনেমায় কাজ করেছেন।
তবে বর্তমানে এই অভিনেত্রী অনামিকা সাহাকে (Anamika Saha) এখন আর সেইরকম ভাবে টিভির পর্দায় দেখা যায় না। মাঝে মধ্যে দেখা মেলে ধারাবাহিক এর পর্দায়। তবে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে নয়, কিছু ছোটোখাটো পার্শ্ব চরিত্রের ভূমিকায়। ৯০ এর দশকে তিনি এসেছিলেন এই ইন্ডাস্ট্রি জগতে। সেই আসার পথ এতটাও সহজ ছিল না। তাঁকেও করতে হয়েছে স্ট্রাগল।
তিনি খুব সহজেই ইন্ডাস্ট্রিতে চান্স পাননি। তিনি যখন অভিনয় জগতে আসেন, তখন তিনি খুব রোগা ছিলেন। এই রোগা হওয়ার জন্য তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন পরিচালকরা। পরে অভিনেতা চিরঞ্জিত তাঁকে পরামর্শ দেন মোটা হতে। তাঁর পরামর্শে ভারী চেহারা তৈরি করেন। এরপরই একের পর এক কাজের সুযোগ আসতে থাকে।
সেইসব দিনের কথা মনে পড়লে তিনি নস্টালজিক হয়ে পড়েন। এখনকার দিনে তো অভিনয় শেখার জন্য স্কুল তৈরি হয়েছে, তখন বড় শিল্পীদের কাছ থেকে অভিনয় শিখতে হত। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। অভিনয়ে আসাও যেমন সহজ হয়ে গেছে, অভিনয় শেখাও তেমন সহজ হয়ে গেছে।
এমনকি তখন প্রয়োজন পরলে পরিচালকদের হাতে – পায়ে ধরতে হত। একবার পরিচালক জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়ের কাছে চড় খেতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। আসলে একদিন শ্যুটিং এর সময় তাঁর বাবার হাত থেকে ঘড়ি খুলে পড়ে যায়। সেটা তুলতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। আর সেটা দেখেই পরিচালক রেগে বলেন, টেনে এক থাপ্পড় মারব। পরে পরিচালক তাঁকে বুঝিয়ে বলেছিলেন শ্যুটিং এর সময় মন যেন অন্য জায়গায় না যায়। এভাবেই তার অভিনয় জগতের হাতেখড়ি শুরু হয়েছিল।