কেউ কেরিয়ারে পা দিয়েই একেবারে শীর্ষে পৌঁছে যায়না, তার জন্য করতে হয় অনেক কসরত। পরিশ্রমের ফলেই আসে সাফল্য। আর সেই সাফল্যের আনন্দ মিষ্টি হয়। ভারতের সংগীত আসরের একটি জনপ্রিয় নাম হল ঊষা উত্থুপ (Usha Uthup)। যিনি ভারতের প্রথম পপ শিল্পী। এই মানুষটি গান গেয়েছেন বহু দেশী ও বিদেশী ভাষায়। পঞ্চাশ বছরের কেরিয়ার জীবনে হোঁচট খেতে খেতে আজ পৌঁছেছেন বিশ্বের দরবারে।
খুব অল্প বয়স থেকেই রোজগারের দুনিয়ায় পা দিতে হয়েছে। আর তাই তো একটা সময় নাইট ক্লাবে শাড়ি পড়ে গানও গেয়েছেন। একটি হোটেলে গান করার জন্য মাসিক পারিশ্রমিক হিসেবে আসত ৭৫০ টাকা। এটাই ছিল সেই সময়কার সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক। এরপরই তাঁর কাছে আসে বলিউডে ডেবিউ এর সুযোগ।
তৎকালীন সুপারস্টার দেব আনন্দ তাঁকে বলিউডে নিয়ে আসেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘দিল্লিতে একটা নাইটক্লাবে তিনি আমার গান শুনতে আসেন, সেখানেই সাক্ষাৎ হয়। আমি খুবই উত্তেজিত ছিলাম এই সাক্ষাৎকারে। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘হরে রাম, হরে কৃষ্ণ’তে কাজ করব কি না? এরপর আমি রাহুল দেব বর্মণ, বাপ্পি লাহিড়ীর মতো সঙ্গীত পরিচালকের সাথে কাজ করেছি। ‘
‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ গানটির মধ্য দিয়ে ডেবিউ হয় বলিউডে। ব্যস এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর একে একে ‘রাম্বা হো’, ‘দোস্তসো সে প্যার কিয়া’, ’হাম হি তো হিন্দুস্তান হ্যায়’এর মতো জনপ্রিয় গান উপহার দেন। আজও তাঁর গান ছাড়া সব জায়গা অসম্পূর্ণ। বলি থেকে টলি, রবীন্দ্রসংগীত থেকে পপ সবেতেই তাঁর জুড়ি মেলা ভার।
শুধু তাই নয়, তিনি অভিনয়ও করেছেন, সাত খুন মাফ, দক্ষিণী ছবি মাম্মুতি সহ আরও অনেক ছবিতে। ছোটো থেকেই খুব ভালো ছাত্রী ছিলেন, বেড়ে ওঠা মুম্বাই এ। বাবা পুলিশ বাহিনীতে কাজ করতেন। পরিবারে ঊষা পাঁচ নম্বরে। অনেক জনের পরিবার। সংসারে বেশি টাকা থাকতনা। ছোটবেলার স্মৃতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি টমবয় ছিলাম, ঘুড়ির জন্য ‘মাঞ্জা’ বানাতাম, পেয়ারা গাছে চড়তাম। ‘তিনি মূলত দক্ষিণ ভারতীয়, কিন্তু গেয়েছেন বাংলাতেও গান।