দিন যত এগিয়েছে দুনিয়া ততই আধুনিক হয়েছে। ল্যান্ড ফোনের পরিবর্তে এসেছে স্মার্টফোন । এই যুগ পরিবর্তনে আমরা সকলেই তাল মিলিয়েছি। আগে ইলেকট্রিক থাকা না থাকা নিয়ে খুবই সমস্যায় ভুগতে হত। পছন্দের ধারাবাহিক গুলো মিস করে যাব, আর হয়ত দেখা হবেনা। কিন্তু এখন আর সেটা হয়না, পছন্দের ধারাবাহিক গুলো স্মার্টফোনেই দেখা যায়, টিভির ভরসা না করলেও চলে।
আবার অনেকেই কর্মব্যস্ততার কারণে ধারাবাহিক গুলো দেখতে পারেননা, দেখার সুযোগ হয়ে ওঠেনা। কিন্তু স্মার্টফোন হয়ে যাওয়ায় সেই সমস্যা কিছুটা হলেও কমেছে। এখন জি থেকে স্টার সব ধারাবাহিকই স্মার্টফোনে বন্দী। যে যখন ইচ্ছা দেখে নিতে পারবে। কোনো সময়ের ব্যাপার নেই। কিন্তু এই নিয়মটা ছিল অতীতে। এখন আর এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে না। জি ফাইভ (Zee5) অ্যাপ্লিকেশনে দেখা যাচ্ছে নতুন নিয়ম।
জি বাংলার সমস্ত ধারাবাহিক দেখা যেত, জি ফাইভ অ্যাপ্লিকেশনে। কিন্তু এই অ্যাপ্লিকেশনে আর সম্প্রচার হচ্ছেনা সাম্প্রতিক পর্ব। দর্শকদের দাবি ২ জুনের পর থেকে এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই অ্যাপ্লিকেশনের নিয়ম অনুযায়ী, যাদের সাবস্ক্রিপশন থাকবে তারা যেদিনের এপিসোড সেদিনই সঙ্গে সঙ্গে দেখে নিতে পারবেন। আর যাদের থাকবেনা তারা আজকের এপিসোড পরের দিন দেখতে পাবেন।
আর এই সংবাদেই ক্ষুব্ধ দর্শকরা। এই অ্যাপ্লিকেশনের উপর নির্ভরশীল বহু মানুষ। আর সেখানেই যদি এমন বাঁধা ধরানিয়ম থাকে তাহলে কি করে হয়। অনেকেরই সামর্থ্য নেই সাবস্ক্রাইব করার, আর তাই যদি এমনটা হয়, তাহলে তো খুবই মুশকিল। তবে এই নিয়মটা টিআরপি বাড়ানোর জন্য। টিভির দর্শকদের উপর নির্ভর করে টিআরপি তালিকা প্রকাশ পায়। অ্যাপ্লিকেশনের দর্শকদের উপর নির্ভর করে নয়।
এখন সকলেই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে দেখে নিচ্ছেন, অ্যাপ্লিকেশনে ভিড় জমাচ্ছেন। টেলিভিশন খোলার দরকারই পড়ছেনা। অতীতে স্টার জলসার গোধূলি আলাপ ধারাবাহিকের সঙ্গে এমনটাই ঘটেছে, টেলিভিশনের দর্শক কম কিন্তু অ্যাপ্লিকেশনের দর্শক বেশি। মিঠাই ধারাবাহিকেও এমনটা দেখা গেছে। যেহেতু টেলিভিশনের উপর নির্ভরশীল টিআরপি, তাই এইসব ধারাবাহিকের টিআরপি কমে গেছে, সময়ের আগেই শেষ করে দিতে হয়েছে। আর যাতে না হয় এমনটা, তাই জি বাংলা এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন।