সাধারণত যে দেশে মানুষ বসবাস করে, সেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তারা যে কোনো মূল্যে যেতে পারে। কিন্তু যখনই অন্য কোনো দেশে যেতে হয়, তখন দরকার হয় ভিসা বা পাসপোর্ট। অর্থাৎ বিদেশে যাওয়ার জন্যই দরকার হয় এই পাসপোর্ট বা ভিজার। কিন্তু জানেন কি একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে ভারতের এই পাঁচ জায়গায় যেতে হলে দরকার পড়ে ভিসা বা পার্সপোর্টের।
আমরা সাধারণত জানি, রেলে যাতায়াতের জন্য টিকিট কাটতে হয়। এই রেলে যাতায়াতের জন্য অনেকেই টিকিট কাটেন আবার অনেকেই কাটেন না, কিন্তু টিকিট না কাটাটা যদিও দন্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু এমন কয়েকটি স্টেশন আছে, যেগুলো তে যেতে দরকার ভিসা বা পাসপোর্ট। শুনতে অবাক লাগলেও একথা সত্য যে, আপনি যদি এই রেলস্টেশনে (Rail Station) ভিসা ছাড়া যান, তাহলে আপনি জড়িয়ে পড়বেন আইনি জটিলতায়। জেনে নিন কোন কোন স্টেশন।
আটারি স্টেশন : ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তের অমৃতসরে অবস্থিত এই স্টেশনে যেতে গেলে দরকার ভিসার। ২৪টি গোপন সুরক্ষা এজেন্সি সবসময় নজর রেখে দেন স্টেশন চত্বরে। কেউ যদি ভিসা ছাড়া ধরা পড়ে তবে জেল হতে পারে। সুতরাং এখানে আপনাকে ভিসা সহই যেতে হবে।
অজানা স্টেশন : রাঁচি থেকে টোরি যাওয়ার পথে পড়বে এই স্টেশন। এখানে নেই কোনো সাইনবোর্ড, তাই এই স্টেশনের নাম জানা যায়নি। প্রথমবার যখন এখানে রেল চলাচল করে, তখন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এর নাম বারকীচংপী রাখার কথা ভাবা হয়। কিন্তু গ্রামের মানুষরা প্রতিবাদ জানায়। তারা বলেন যে গ্রামের নামে স্টেশন রাখতে হবে। তাই এখনও এই স্টেশনের নাম অজানা।
অজানা স্টেশন : এই আরেকটা নামহীন স্টেশন। বাঁকুড়া মাসগ্রাম রেললাইনে এই রেলস্টেশনটি অবস্থিত। ২০০৮ সালে এই স্টেশন তৈরি হয়। এই স্টেশনের নাম রায়নগর রাখা হয়। কিন্তু রায়না গ্রামের মানুষের এই নাম পছন্দ না হওয়ায়। এই স্টেশনটি নামবিহীন হয়েই রয়ে গেছে এখনও।
আরও পড়ুনঃ বিয়ারের বোতল সবসময় বাদামী বা সবুজ রঙের হয় কেন? জানুন এর পিছনের এক লুকানো ইতিহাস
ভাওয়ান মান্ডি : দিল্লি-মুম্বাই লাইনে রাজস্থান আর মধ্যপ্রদেশের মাঝে এই স্টেশনটি অবস্থিত। স্টেশনের দুই প্রান্তের এক প্রান্তে রাজস্থান আর অপর প্রান্তে মধ্যপ্রদেশের সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে। দুটি রাজ্যের মাঝে থাকে সর্বদা ট্রেনটি।
নওয়াপুর রেলওয়ে স্টেশন : এই স্টেশনের এক ভাগ রয়েছে মহারাষ্ট্রে, আর এক ভাগ রয়েছে গুজরাটে। এই স্টেশনের বেঞ্চ থেকে প্ল্যাটফর্ম সব জায়গাতেই দুই রাজ্যের নাম লেখা। আর যখন ট্রেন আসার ঘোষণা করা হয়, তখন চারটি ভাষা ব্যবহার করা হয়। ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি এবং গুজরাটি।