ধারাবাহিকের চমক আর টিআরপি আনাতে, ধারাবাহিক নির্মাতা এমন পথ অবলম্বন করে, যেখানে বাস্তবের কোনো স্থান নেই। আর এই কাণ্ডকারখানা দেখে অবাক হয়ে যায় সকলেই। ট্রোলের মুখেও পড়তে দেখা যায় ধারাবাহিককে। আসলে মানুষ বাস্তব নির্ভর। কিন্তু বাস্তব না দেখিয়ে এতটাই অবাস্তব দেখানো হয় যে, মানুষ বিরক্ত হয়ে ট্রোল করেন। অনেক ধারাবাহিকই পড়ে ট্রোলের মুখে।
মিঠাই (Mithai) গ্রামের একজন সাধারণ মেয়ে। সেই মেয়ে পড়াশোনা জানেনা। সে মিষ্টি বিক্রি করত। কিন্তু সেই মেয়েই আজ হয়ে গেল মিষ্টি ব্যবসায়ী। আবার আমরা দেখেছি স্টার জলসার জবা ধারাবাহিকে সে পড়াশোনা না জেনেও হয়ে গেল উকিল। গোধূলি আলাপেও দেখা মিলেছে এমন ঘটনার। যেখানে নায়িকা পড়াশোনা না করেই হয়ে যায় উকিল।
এগুলি সব ধারাবাহিক লিপ নেওয়ার পরেই ঘটে। সম্প্রতি মিঠাই ধারাবাহিকেও ঘটেছে এমন কাহিনী। শাক্যর জন্ম হওয়ার পর, মিঠাই আর সিড বেশ খুশি। দুজনে মিলে শাক্য কে বড় করে তুলছে। কিন্তু এ হেন আনন্দের মাঝে ফিরে এসেছে ওমি আগরওয়াল। তারই ষড়যন্ত্রে কারখানার জন্য গুদামঘর দেখতে গিয়ে আগুনে আটকা পড়ে মৃত্যু হয় মিঠাই এর। ধারাবাহিক লিপ নেয়।
সম্প্রতি এই নতুন ট্র্যাকে দেখা যাচ্ছে, মিঠাইয়ের খুনিদের শাস্তি দিতেই কর্পোরেট চাকুরিজীবী, মোদকের পরিবারের মিষ্টির ব্যবসা সামলানো সিদ্ধার্থ চাকরি ছেড়ে পুলিশ অফিসার হয়েছে। এরকম ভোলবদলে সকলেই ট্রোল করছেন। অনেকেরই মতে পুলিশ না হয়ে সিদ্ধার্থ মিষ্টির ব্যবসার হালটা পুরোটা ধরলে মিঠাই বেশি খুশি হতো।
আরও পড়ুনঃ ‘শাক্য’ চরিত্রে প্রথম নয় এর আগেও করেছে অভিনয়, স্টার জলসার এই সিরিয়ালে দেখা গিয়েছিল তাকে
এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘সিড তো ৩০ বছর পার হয়ে যাওয়া একটি যুবক, সে কি করে মিঠাই মারা যাওয়ার কয়েক বছর প্রায় ৭-৮ বছর পরে পরীক্ষা দিয়ে পুলিশে ট্রেনিং নিয়ে পুলিশ হয়ে গেল? কর্পোরেট চাকুরী থেকে মিষ্টিওয়ালা থেকে রিকি রকস্টার।
এখন আবার মিষ্টিওয়ালা থেকে পুলিশ অফিসার মানব সভ্যতার ক্রম বিবর্তন যেন…’। আর একজন লিখেছেন, ‘আরেএএ টাইটেল তো মোদক, মনে হয় SC বা ST কোটায় চাকরি পেয়েছে। ওই কোটায় তো ৪০ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরির জন্য অ্যাপ্লাই করা যায়’।