বর্তমানে প্রতিটা চ্যানেলই ধারাবাহিকের টিআরপি (TRP) বাড়াতে এতটাই উৎসুক! সেটা এতটাই বেশি যে ধারাবাহিকের কাহিনী এত ঘুরিয়ে দিচ্ছে যার কোনো মাথা মুন্ডু থাকছে না! এর ফলে হিতের বিপরীত হচ্ছে। মানুষ আর দেখতেই চাইছে না। এতটাই কৃত্রিম অবাস্তব জিনিস দেখানো হচ্ছে যে, তাতে আর মানুষ চাইছেন না, ধারাবাহিক দেখতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে ট্রোলের বন্যা।
জি বাংলার একটি ধারাবাহিক দেখে দর্শকরা বিরক্ত হচ্ছেন। সেই জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘গৌরী এলো’ (Gouri Elo)। বিজ্ঞান আর কুসংস্কারের মেলবন্ধনের সহিত শুরু হয়েছিল এই ধারাবাহিকটি। শুরু থেকেই বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল এই ধারাবাহিকটি। কিন্তু বর্তমানে অবাস্তব দেখাতে গিয়ে, এতটাই অবাস্তব হয়ে পড়েছে যে, ট্রোলের মুখে পড়েছে সিরিয়ালের কাহিনী। এমনকি বয়কটেরও ডাক দিয়েছেন নেটিজেনরা।
অন্যদিকে এই ধারাবাহিকই আবার ‘বেঙ্গল টপার’ শিরোপা পেয়েছে। আর এই ধারাবাহিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ধারাবাহিকটি প্রশয় দিচ্ছে অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কারকে। কারণ ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে, একজন সাধারণ মেয়েকে মা কালীর অংশ রূপে দেখানো হয়েছে। গৌরীর মধ্যে মা ঘোমটা কালীর ক্ষমতা রয়েছে। গৌরী যখনই বিপদে পড়ে, তখনই বিপদের মুখে থেকে সাবধান করে সেই অলৌকিক ক্ষমতা।
এ তো গেল সাধারণ ঘটনা। কিন্তু এরপর যা ঘটছে তা মেনে নিতে অক্ষম দর্শকরা। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, গৌরী তার সংসার জীবন ত্যাগ করে মায়ের রূপ ধারণ করে ভক্তদের উপকার করছেন। ছোটো দাদু তাকে মন্দিরে দেবী বলে প্রতিষ্ঠিত করেন। রোগীদের জন্য গৌরী দিচ্ছেন বিশেষ পুরিয়া , এই পুরিয়া ব্যবহার করলেই নাকি রোগী সুস্থ হয়ে যাবে, দরকার পড়বেনা ওষুধের।
চোখের সামনে এসব দেখে কিছুতেই আটকাতে পারছেননা ঈশান। তাকে অনেক বুঝিয়েছেন, কিন্তু সে ব্যর্থ। এসব কীর্তি কলাপ দেখে, সকলেই বিরক্ত হচ্ছেন। তারা দেখতে চাইছেন না, এই ধারাবাহিক দেখতে । বন্ধ করে দেওয়া হোক ধারাবাহিক, এমনই ডাক দিচ্ছেন দর্শকরা। আধুনিক সময়ে এখনও থাকবে কুসংস্কার, গৌরী এল ধারাবাহিক দেখে দর্শকরা এটাই প্রশ্ন তুলছেন।