স্টার জলসার (Star Jalsha) নতুন ধারাবাহিক ‘মাধবীলতা’ (Madhabilata)। কয়েক মাস যাবৎ শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক দর্শকের কাছে ভালোবাসা পেতে শুরু করেছে। মাধবীলতা সিরিয়ালের গল্প গাছ বাঁচানোর লড়াইকে কেন্দ্র করে। যে গাছকে মায়ের মতন মনে করে ভালোবাসে। গাছ বাঁচানোটা যার জীবনের সব থেকে বড়ো গুরুত্ত্বপূর্ণ কাজ। মাধবীলতার কাছে তার প্রাণের থেকেও প্রিয় হল গাছ।
একসময় যার হাত থেকে গাছ বাঁচাতে মরিয়া ছিল মাধবীলতা আজ তার বাড়িতেই ছেলের বউ হয়ে আসতে হয়েছে তাকে। তবে গল্পে এসেছে নতুন মোড়। মাধবী সবুজকে বাধ্য হয়ে বিয়ে করেছিল। আর সবুজ কার ছেলে জানার পর চলেও যেতে চেয়েছিলো। কিন্তু সে পুষ্পরঞ্জন চৌধুরীকে শোধরানোর দায়িত্ব নেয়। সে বর্তমানে বেশ সফল।
সবটা ছলনা দিয়ে শুরু হলেও পুষ্পরঞ্জন চৌধুরী এখন মাধবীলতা ছাড়া যেন কিছু ভাবতেই পারছেননা। তার মধ্যে পিতৃস্নেহের মনোভাব জাগতে দেখা গেছে। যে জংলাহাটার জঙ্গল কেটে ব্যবসা করতে চেয়েছিল সেই আজ গাছ বাঁচানোর লড়াইতে মাধবীলতাকে সঙ্গ দিচ্ছে নিজের পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে। সব মিলিয়ে মাধবীলতা দর্শকের কাছে বেশ ভালোলাগার মতো গল্প হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে।
এরই মাঝে ধারাবাহিকে এক বিশেষ চমকের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিজয়িনীর পুষ্পরঞ্জন চৌধুরীর উপর একটা রাগ আছে তা বরাবর বোঝা যাচ্ছিলো। আসতে আসতে বিজয়িনীর এই রাগের রহস্য উন্মোচন হচ্ছে ধারাবাহিকে। আর তার সাথেই আসতে চলেছে দর্শকের জন্য বড়ো চমক। এখনও অবধি জানা গেছে বিজয়িনীর এক যমজ বোন আছে। এক দুর্ঘটনায় তারা আলাদা হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ শ্বশুরের জন্য কখনও শিক্ষিকা তো আবার কখনও ডাক্তার, এক মাধবীলতার এত প্রতিভা দেখে অবাক দর্শক!
যমজ হলেও তাদের দেখতে একরকম ছিলনা। আর সেই দুর্ঘটনায় সকলে জানেন যে বিজয়িনীর যমজ বোন মারা গেছে। তবে এই সত্য সামনে এসেছে সে বেঁচে আছে মারা যায়নি। এই খবরের সত্যতা সন্ধান করতে গিয়ে জংলাহাটার বুড়ো বাবা মৃত্যুমুখে। তবে সব কিছুর ইঙ্গিত এক বিশেষ দিকে। সম্ভবত মাধবী আর বিজয়িনী দুই বোন।
অধিকাংশ দর্শকের মনে এইটাই প্রশ্ন সত্যিই কি মাধবী আর বিজয়িনী তাহলে দুই বোন? কিন্তু এটা চলতি গল্প অনুযায়ী দর্শকের অনুমান মাত্র। তবে আসলে কি চমক অপেক্ষা করছে তা তো সময়ের সাথেই বোঝা যাবে। এদিকে সবুজকে বিয়ে করবে বলে পাগল হয়ে উঠেছে বিজয়িনী। মাধবী সবুজকে ভালোবাসতে শুরু করেছে। সে কখনোই সবুজকে অন্য কারুর হতে দেবেনা। এবার দেখার গল্পের মোড় কোন নতুন চমক আনতে চলেছে।