টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ, অভিনেত্রী আয়েন্দ্রী রায় (Ayendri Roy)। তাকে বেশিরভাগ খল চরিত্রেই দেখা মিলেছে। তাকে দেখতে এবং তার কথাবার্তায় যেন বৈদেশিকতার ছাপ। এর কারণ কি জানেন? আসলে তিনি বাঙালি হলেও বড় হয়েছেন ভারতের বিভিন্ন শহরে। কখনো গোয়া আবার কখনো হায়দরাবাদ দক্ষিণ ভারতের কোন না কোন শহরে। বাবা ছিলেন প্রাক্তন সাংবাদিক, আর মা ছিলেন শিক্ষিকা।
ছোট থেকেই মডেলিংয়ের প্রতি ছিল অগাধ ভালোবাসা। সেই ভালোবাসায় তাকে নিয়ে এসেছেন অভিনয় জগতে। শুরুর দিকে অনেক বড় বড় সংস্থার বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। তার বাবা চেয়েছিলেন মেয়ে সাংবাদিক হোক, অভিনয় পেশাটা একেবারেই তার বাবার পছন্দ ছিল না। তবে মা কে সবসময় পাশে পেয়েছেন অভিনেত্রী।
তারপর হঠাৎ সুযোগ আসে অভিনয়ের । ছোটো থেকে যেহেতু একটু ঝোঁক ছিল অভিনয় করার, তাই সুযোগ টা হাতছাড়া করেননি। প্রথম ধারাবাহিক ‘আদরিনী’ করার পর তিনি বিরতি নিয়ে, আবার মডেলিংয়ে ফোকাস করেন। কিন্তু ২০১৮ সালে আমি সিরাজের বেগম সিরিয়ালের প্রস্তাব আসে তার কাছে, এই সুযোগ হাতছাড়া না করে অভিনয় করেন। এরপর ২০২০ তে আবার দেখা মেলে তিতলি ধারাবাহিকে রেহানা চরিত্রে। এই চরিত্রে অভিনয় করে বেশ জনপ্রিয় হন।
তারপরেই দেখা যায় গ্রামের রানী বীণাপাণি, আলতাফড়িং, খেলনা বাড়ি প্রভৃতি ধারাবাহিকে। জনপ্রিয় হয়েছেন খল চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। বর্তমানে আবারও তার দেখা মিলবে কালারস্ বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘সোহাগ চাঁদ’ (Sohag Chand) এ। এই ধারাবাহিকে মালাইকা চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনি। সবাই তো চায় নায়িকা হতে, কিন্তু তিনি পার্শ্ব চরিত্রেই সফল। কখনো ইচ্ছা হয়নি নায়িকা হতে?
এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘ইচ্ছা হয়, কিন্তু অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনাটাও সমানভাবে করতে চেয়েছি। লিড চরিত্র করলে মাসের প্রত্যেকটা দিন সিরিয়ালের জন্য রাখতে হয়, কিন্তু সেকেন্ড লিড করে আমি পড়াশোনা করতে পারছি। বর্তমানে আমি অভিনয়ের পাশাপাশি ইতিহাসে এম.এ করছি এই মুহূর্ত। অনেক লিড চরিত্রের সুযোগ এসেছে, না করে দিয়েছি, তবে ভবিষ্যতে এলে নিশ্চয়ই করব’।