বিয়ে মানেই প্রতিটি ঘরের এক বড় উৎসবের মতন। প্রত্যেক পরিবারে বিয়ে মানেই অনেক বড় কাজ। এই বিয়ে এমন একটা জিনিস, যা দূর্গাপূজা কেও হার মানাবে। বিয়ে মানেই একটা ধূমধাম ব্যাপার। বিয়ের আগে প্যান্ডেল বাধা, কেনাকাটা, খাওয়া দাওয়া , আত্মীয় স্বজন সব মিলিয়ে একটা জমজমাট পরিবেশ। তবে ছেলের বাড়ির লোকজনের বেশি মজা হয়, নতুন বউকে আনতে যাবে।
বাড়িতে নতুন বউ আসবে একটা জমজমাট পরিবেশ। আর সর্বহারা হয়ে পড়ে মেয়ের বাড়ির লোকজন। একটা কথা শোনা যায়, মেয়ের বাড়ির লোকেরা নাকি ছেলের বাড়ির লোকেদের থেকে মানে ছোটো হয়। ছেলের বাড়ির লোকেরা যা বলে, মেয়ের বাড়ির লোকেদের তা মেনে নিতে হয়। মেয়ের বাড়ির লোকেরা মাথা নীচু করে থাকে সবসময় । এটাই হয়ে আসছে চিরাচরিত। তবে বর্তমানে সেই ছবির হাল কিছুটা বদলেছে। যার ঝলক দেখা গেল সাম্প্রতিক ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu) তে।
ধারাবাহিক গুলোতে বাস্তবের প্রতিচ্ছবিই দেখানো হয়। সম্প্রতি শুরু হওয়া ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকেও তাই দেখানো হল। পর্ণার বাড়ির লোকজন এবং পর্ণাকে অনেক অপমান করে সৃজনের বাড়ির লোকজন। পরে প্রতিবাদ করতে গেলে সৃজনের বাড়ির লোকজন জানান, মেয়ের বাড়ির লোকজন সবসময় ছেলের বাড়ির লোকজনের কাছে মাথা নীচু করে।
এই কথা, এই রীতি শুনতে নারাজ পর্ণার মা। তিনি প্রতিবাদ জানান, তিনি বলেন, ‘এই মূহুর্তে এই বাড়ির চৌহদ্দি থেকে আমরা বেড়িয়ে যাব। পর্ণা তুমি আজ যাবে না কাল সেটা ঠিক কর’। মেয়ের মায়ের এ হেন প্রতিবাদ দেখে নেটনাগরিকরা অবাক। সবাই পর্ণার মায়ের কথা শুনে আনন্দিত।
সবাই চাইছেন এরকম প্রতিবাদী মা দরকার। সবাই বলছেন মেয়ের মায়ের চরিত্র টা একেবারে ঠিকঠাক। এরকমই হওয়া উচিত। পর্ণার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী সংযুক্তা ব্যানার্জী। অভিনেত্রীর অভিনয় সকলেই বেশ প্রশংসা করছেন। এরকম মা সবার আদর্শ। বাস্তবে আমরা দেখি, মেয়ের মা মাথা নীচু করেই চলে আসে। এক্ষেত্রে এই চরিত্র আদর্শবাদী ব্যতিক্রমী চরিত্র।