স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘এক্কাদোক্কা’ (Ekka Dokka)। ধারাবাহিকটি সবেমাত্র শুরু হয়েছে, আর শুরু থেকেই সকলের মন কেড়ে নিয়েছে। দর্শকরা এই ধারাবাহিক দেখার জন্য সন্ধ্যা থেকে উদগ্রীব থাকেন, কখন দেখতে পাবেন তা নিয়ে। ধারাবাহিকের প্রত্যেকটি এপিসোড সকলের মন কেড়ে নেয়। আর মন কেড়ে নেওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ ধারাবাহিকের মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন সোনামণি সাহা এবং সপ্তর্ষি মৌলিক।
দুজনেই বেশ জনপ্রিয় তারকা। সকলেরই পছন্দ দুজনকে। ধারাবাহিকের শুরুটা কিন্তু হয়েছিল ঝগড়া দিয়েই। এমবিবিএস ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্ট পোখরাজ ও রাধিকা দুজনের মধ্যেই ক্যাম্পাসে তুমুল ঝগড়া হতে দেখা যায় । কেউ কাউকে সহ্য করতে পারত না। একে অপরের মুখও দেখতে চাইতো না। কিন্তু সেই ঝগড়ার আড়ালে লুকিয়ে ছিল, গভীর প্রেম।
আর তাই তো ভাগ্যচক্রে একে অপরকে সহ্য করতে না পারা মানুষ দুটি আজ হয়ে গেল, একে অপরের জীবন সঙ্গী। তবে জীবন সঙ্গী হওয়ার পিছনে রয়েছে বড় ইতিহাস। যারা ধারাবাহিকটি দেখেন তারা জানেন, কিভাবে তাদের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু এই বিয়ে মেনে নেয়নি পোখরাজের পরিবারের সদস্যরা। তারা সবসময়ই রাধিকার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। পোখরাজের মা তো একেবারেই সহ্য করতে পারে না রাধিকাকে। নতুন বউ কে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।
এমনকি সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, পোখরাজের মা ছেলের প্রতি রাগে, অভিমানে আত্মহত্যা করে। হসপিটালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। এখন তার জ্ঞান ফিরেছে। তাই রাধিকা, পোখরাজ, বুবলু সকলেই দেখতে গেছে। পোখরাজকে দেখে শর্মিষ্ঠা বলেন, কেন এসেছ এখানে, চলে যাও। তোমার মুখ আমি দেখতে চাই না। এরপরই চিৎকার করতে শুরু করে পোখরাজের মা।
আর তখনই রাধিকা এসে পড়ে। স্বামীর পাশে দাঁড়ায়। সে বলে, কেন তার মা কে আটকায়নি। এমন অবস্থায় তিনি বেশি উত্তেজিত হলে কন্ডিশন খারাপ হতে পারে। আর তাই শাশুড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখছে। যে শাশুড়ি তাকে অপছন্দ করে, তার খেয়াল রাখা দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটপাড়া। এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘আজ রাধিকা জোর করে শর্মিষ্ঠার জন্য যা করল বউ আর ডক্টর হিসেবে তা একদম ঠিক কাজ’।