বর্তমানে সমাজে যেটা ঘটে চলেছে, তার প্রতিফলনই ধারাবাহিকে দেখা মিলছে। ২০২২ এর আধুনিকতাতেও এখনও গ্রামে গঞ্জে ঝাড়-ফুঁক, তুক-তাক এর প্রভাব কাটেনি, এখনও মানুষ কুসংস্কারের বশেই বলিতে। এখনও শরীর খারাপ হলে মানুষ বলে বাতাস লেগেছে, তাই ওঝার খোঁজ করা হয়। ডাক্তারের খোঁজ করা হয় না। আবার অস্বাভাবিক কিছু দেখলে তখন বলা হয় ভুত আছে। আর তখনই খোঁজ করা হয় ওঝার।
আর সমাজের গল্পই উঠে আসে ধারাবাহিকের পর্দায়। জি বাংলার একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গৌরী এল’ (Gouri Elo) তে সেটাই দেখানো হয়েছে। ধারাবাহিকটি তে দেখানো হয়েছে, বিজ্ঞানের সাথে কুসংস্কারের মেলবন্ধন। ধারাবাহিকের নায়ক ঈশান সবটাই যুক্তি দিয়ে বিচার করে, সে একজন ডাক্তার। কিন্তু নায়িকা গৌরী সবটাতেই ঈশ্বরের হাত আছে বলে মনে করেন।
গৌরীর মধ্যে স্বয়ং ঘোমটা কালীর বাস। এমনটাই মনে করেন সকলে। আর তাই তো ধারাবাহিকের খল চরিত্র শৈল মা, গৌরী কে জব্দ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ঈশান যখন ঈশানের বাড়িতে চলে আসে, তখন গৌরী কে পুড়িয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল শৈল মা। কিন্তু ঘোমটা কালীর দয়ায় গৌরী সেই আগুন থেকে রক্ষা পেয়ে যায়।
আর এই অস্বাভাবিক ব্যাপার কে মানতে পারছেন না গ্রামের কেউই। তারা বলছেন এই গৌরীর মধ্যে রয়েছে ভুতের বাস। এই কথা শুনে ইশান বলে, ‘ভুত তো গৌরীর একার মধ্যে নেই, ভুত তোমাদের সবার মধ্যে আছে। এবার এই ভুত আমি তাড়াব’। তারপর দেখা যায়, ভুত ছাড়ানোর জন্য ওঝা নিয়ে আসা হয়। পুরো ওঝার বেশে জানা হাতে হাজির হয় ঈশান।
কেউ তাকে চিনতেই পারে না, যে সে ছদ্মবেশী। এরপর দেখা যায়, যারা গৌরী কে ভুত আছে বলে বদনাম দিচ্ছিল, তাদেরকেই ঝাটা মেরে তাড়া করল ঈশান। সবাই ঈশানের ওঝা গিরি দেখে অবাক। কেউ ভাবতেই পারেনি ঈশানের এমন লুকে দেখবে।