স্টার জলসার একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গোধূলি আলাপ’। ধারাবাহিকে এখন চলছে টানটান পর্ব। ধারাবাহিকের যা কাহিনী ছিল, এখন বিপরীত দিকেই এগোচ্ছে ধারাবাহিক। অসম বয়সী প্রেমের বুননে তৈরি হয়েছিল গল্প। কিন্তু সেই প্রেমে এখন বিচ্ছেদ দেখা দিয়েছে। নায়ক নায়িকা এখন অন্যত্র জীবন যাপন করছেন। এই পরিস্থিতি বর্তমানে গোধূলি আলাপ ধারাবাহিকের।
ধারাবাহিকটি বর্তমানে লিপ নিয়েছে। স্বামীর মতোই নোলক একজন উকিল হয়েছে। কোর্টে কেস লড়তে গিয়ে দুজনেই দুজনের মুখোমুখি হয়। নোলক কে দেখে অরিন্দম অবাক হয়ে যায়। এবং জিজ্ঞাসা করে সে নোলক কিনা। শুধু অরিন্দম নয়, এ হেন ঘটনায় প্রায় সকলেই অবাক হয়ে যায়। কারণ গল্পের শুরুতে নোলক ছিল একজন সাধারণ ঘরের মেয়ে। সেই মেয়ে এখন উকিল।
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার কেসের সূত্রে মুখোমুখি হয়েছে নোলক অরিন্দম। নোলকের কাছে বারবার হেরেছে অরিন্দম। বলা চলে সঠিক পথে সত্যিটা কিভাবে তুলে ধরতে হয় তা নোলোককে শিখিয়েছে অরিন্দম। অপরদিকে, নোলকের কাছ থেকেও সে শিখেছে নতুন করে সেকথা সে স্বীকার করেছে। সব কিছুর মাঝেও অরিলোকের মধ্যিখানে রয়েছে বিরাট ফাঁক। তারা এক হতে চেয়েও পারছেনা। তাদের মাঝে ভুলবোঝাবুঝির একটা সুক্ষ প্রাচীর গড়ে উঠেছে। যা তারা ভেঙে ফেলতে পারছেনা।
সম্প্রতি, ধারাবাহিকে একটি নতুন মোড় ঘোরানো প্রোমো সামনে এসেছে। আর সেই প্রোমো দর্শকের উত্তেজনাকে আরও দ্বিগুন করে তুলেছে। প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে বিয়ের পিঁড়িতে বসে অরিন্দম ও রোহিনী। এদিকে অরিন্দম যে তনয়াকে বিয়ে করেনি সেই সত্যিটাও জেনে গেছে নোলক। তবে বড্ড দেরিতে। নোলক যখন সবটা জানতে পেরে তার উকিল বাবুর কাছে ছুটে এলো সে দেখলো অরিন্দম তখন রোহিনীকে সিঁদুর পড়াতে যাচ্ছে।
কিন্তু নোলক অরিন্দমকে সত্যিটা বলতে পারলোনা কারণ একইসাথে সে শুনে নেয় যে রোহিণীর আগত সন্তানের জন্য অরিন্দমের মা তাকে এই বিয়ে করতে বলছে। এই প্রোমো অনুরাগীদের মন ভেঙে দিয়েছে। এতদিন ধরে যে মিল হওয়ার অপেক্ষা দর্শক করছিলেন সেখানে এমন একটা প্রোমো গল্পকে আবার নতুন মোড় দিয়ে দিয়েছে। তবে রোহিনীকে কি নোলোককে দেখার পরও অরিন্দম বিয়ে করতে পারবে? এই প্রশ্ন থেকেই যায়।
অন্যদিকে নোলক অরিন্দমের সত্যিটা জানতে পেরে গেলেও অরিন্দম এখনও তার সত্যিটা জানেনা। সে জানে নোলক এখন শান্তনুর বিবাহিতা স্ত্রী। গল্পের এমন মোড় দর্শক পছন্দ করছেননা। তারা চান নোলক অরিন্দমের যেন মিল হয়। তারা যেন আবার একসাথে থাকতে পারে। এক্সিডেন্টে আদির মৃত্যু তিনটে জীবনকে আবার এক সরলরেখায় এনে দাঁড় করলো।