বাই জানেন, ধারাবাহিকের শেষ কথা টিআরপিই বলে। আর তাই টিআরপি তালিকায় ভালো ফলাফল রাখতে ধারাবাহিকে আনা হয় বড়সড় চমক। আর এই চমকের ভিড়ে কখনো হয়ে যায় অতিপ্রাকৃত জিনিস, কখনো হয়ে যায় কুশিক্ষার জিনিস। এসবের ফলাফল ট্রোল। ধারাবাহিকের ঘটনা দেখে ধারাবাহিকের নির্মাতাদের বারবার পড়তে হয় ট্রোলের মুখে। সম্প্রতি আবারও একটি ধারাবাহিক ট্রোলের কারণে উঠে এল শিরোনামে।
স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিকের নাম হল, ‘এক্কাদোক্কা’ (Ekka Dokka)। ধারাবাহিকটি খুবই প্রশংসিত। ধারাবাহিকের কাহিনী প্রথমে দর্শকদের বেশ পছন্দ হয়েছিল। কারণ একটা বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়ের ডাক্তার হওয়ার সংগ্রাম দিয়ে শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটি। প্রথমের গল্প এরূপ থাকলেও, দ্বিতীয় বারের গল্প অন্যরকম। গল্পের মাঝপথে চলে এল অন্য গল্প।
বর্তমানে রাধিকা পোখরাজের বিয়ে হয়ে গেছে ঘটনাচক্রে। কিন্ত পোখরাজের বাড়ির লোক কোনোমতেই রাধিকাকে মেনে নিতে পারেনি। শুধু তাই নয় রাধিকাকে রীতিমত নির্যাতিত হতে হচ্ছে শ্বশুরবাড়িতে দিনের পর দিন। তবে রাধিকা এক বিশেষ উদ্দেশ্য বশত বিয়েটা করেছিল। পোখরাজের বাড়ির লোক অন্যায় ভাবে রাধিকার বাবাকে মিথ্যে কেসে ফাঁসিয়ে দেয়।
রাধিকা বুঝতে পেরেছিলো এই কারসাজিতে নিশ্চই সেনগুপ্ত পরিবারের হাত আছে। হয়ে ছিলও তাই। পোখরাজের দুই কাকা এই ষড়যন্ত্রের সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত। রাধিকা নিজের বাবাকে নির্দোষ প্রমান করতে বদ্ধপরিকর। তাই সে শত অপমান সহ্য করেও বাবার পক্ষে প্রমান জোগাড় করেছে লুকিয়ে। কিন্তু সেখানে হয় আরেক বিপত্তি।
প্রমান জোগাড় করতে গিয়ে ধরা পরে যায় রাধিকা। আসল উদ্দেশ্য সামনে না এলেও রাধিকাকে সকলে চোরের অপবাদ দেয় আর বাড়ি থেকে বার করে দেয়। পোখরাজ তার ভালোবাসার উপর বিশ্বাস রাখতে পারেনি। রাধিকাকে সকলের মতোই চোর মেনে নিয়েছে সে। রাধিকা কি নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে পারবে?
আর অবশেষে রাধিকা পোখরাজ আজ কোর্টে একে অপরের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে কেস লড়ছে। তাদের ভূলবোঝাবুজি তাদের সম্পর্ককে টেনে এনেছে ডিভোর্সের পর্যায়ে। রাধিকা শেষমেশ ডিভোর্সের পেপারে সই করে দিয়েছে। আবারও কি তাদের মিল হবে? নাকি রাধিকা পোখরাজের সংসার এই টুকুই।