জী বাংলার বেশ জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠাই’। ধারাবাহিকটির ট্যাগ লাইন ‘সুখে দুঃখে মিষ্টি মুখে মিঠাই’ তা সত্যি করেছেন নির্মাতারা। বর্তমান সময়ে যেখানে একের পর এক সিরিয়াল খুব অল্প সময়েই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেখানে মিঠাই পূরণ করেছে দু বছর। শুরু থেকেই মিঠাই সকলের মনে জায়গা করে নিতে শুরু করেছে। মিঠাই শুধু একান্নবর্তী একটা পরিবারের গল্প নয়।
মিঠাই মানুষের আবেগে পরিণত হয়েছে। বাঙালির মিষ্টি প্রেম ঐতিহ্যবাহী মনোহরা। এই মিষ্টি বাংলার অনেক মানুষের কাছেই হয়তো অজানা ছিল। যাকে এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে আবার মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। শুধু মিষ্টি নয় একান্নবর্তী পরিবারের বন্ধনটাও খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই ধারাবাহিকে। হাতের পাঁচটা আঙ্গুল যেমন সমান হয়না তেমনই একটা পরিবারে কখনও সব মানুষ সমান হতে পারেনা।
তবুও সুখে-দুঃখে, আপদে-বিপদে যারা সবসময় পাশে দাঁড়ান তারাই তো পরিবার। পরিবারই তো সবার প্রথমে আমাদের বন্ধু হয়ে ওঠা উৎসাহিত তাইনা? আর এটাই ফুটে ওঠে এই ধারাবাহিকে। তাই তো মিঠাই সকলের মনের গভীরে দাগ কেটে যায় বারংবার। নির্মাতারা ও কলাকুশলীরা তাদের কঠোর পরিশ্রম দিয়ে সফল হয়েছেন মিঠাইকে সফল করে তুলতে।
বর্তমানে গল্পের খাতিরে এই ধারাবাহিকের গল্প কিছুটা ঘেঁটে গেলেও জনপ্রিয়তা কমেনি মিঠাইয়ের। আজও মিঠাই প্রেমী সকলেই। প্রতি কলাকূশলীকে দর্শক ভালোবাসেন। প্রত্যেকেই তাদের অভিনীত চরিত্রকে ভীষণ ভাবে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন নিজেদের অভিনয়ের গুনে। সিদ্ধার্থ ও মিঠাইয়ের জুটির সমীকরণ দর্শকের মন ছুঁয়ে গেছে বারংবার।
বর্তমানে ধারাবাহিকে মিঠি-মিঠাই নিয়ে একটা রহস্য গড়ে উঠেছে। যদিও খুব শীঘ্রই হয়তো সেই রহস্যের সমাধানও হতে চলেছে। তবে গল্পের এই খিচুড়ি ভাগটা দর্শক মাঝে মাঝে দেখতে গিয়ে হয়তো হাঁপিয়ে ওঠেন। সময়েরও পরিবর্তন হয়েছে ধারাবাহিকটির তাই বর্তমানে আর বেঙ্গল টপার হয়ে ওঠা হচ্ছেনা টানা ৫৪ সপ্তাহ বেঙ্গল টপার হওয়া এই ধারাবাহিকের। তবে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই স্লট লিড করে থাকে সিরিয়ালটি।
বিনোদন জগতের বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বাংলা ভাষায় সৃষ্ট অনেক গল্পের অন্যান্য ভাষায় অনুকরণ দেখা গেছে। এই চিত্রটা এখন খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে। তবে ভারতের বাইরে অন্য কোনো দেশে বাংলার কোনো সিরিয়াল রূপান্তর হচ্ছে এমনটা সচরাচর প্রতক্ষ্য হয়না। তবে এমনই কিছু প্রতক্ষ্য হল ‘মিঠাই’ সিরিয়ালটির ক্ষেত্রে। জী ওয়ার্ল্ড আফ্রিকা চ্যানেলে সম্প্রচারিত হচ্ছে মিঠাই। আপামর বাঙালির কাছে যেন এ এক অন্যরকম গর্বের বিষয়।