জী বাংলার (Zee Bangla) বর্তমান জনপ্রিয় সিরিয়াল গুলির একটি হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu)। সিরিয়ালটি শুরু থেকেই আলোচনার শীর্ষে আছে। একটি একান্নবর্তী বাঙালি পরিবারের গল্প নিয়ে এই ধারাবাহিক। শিক্ষিতা আধুনিকা একটি মেয়ে বিয়ের পর এসে পরে এক একান্নবর্তী পরিবারে। যেখানকার মানুষ গুলোর চিন্তাধারা ভীষণ আলাদা। কিন্তু পর্ণাও হার মানবেনা। সে ঠিক করেছে সে গুছিয়ে সংসার করবে।
দত্ত পরিবারে সে ধীরে ধীরে কিছু পরিবর্তন ঘটাবে এমনটাও প্রতিজ্ঞা করেছে সে। সম্প্রতি, পরনের চাকরি করতে যাওয়া নিয়ে তাকে শ্বশুরবাড়িতে বেশ হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল। চাকরি করতে চেয়ে তাকে বাড়ি থেকে বেরিয়েও যেতে হয়েছিল পর্যন্ত। তবে পরিবারের বাকি সবাই একদিকে আর পর্ণার ঠামশ্বাশুড়ি আর পর্ণার ননদ ও এক দেওর একদিকে।
সবাই মাইল পর্ণাকে কোনঠাসা করতে চাইলে ঠাম্মি ঠিক পর্ণাকে মনে সাহস জোগাতে সাহায্য করেন। আর সেই জোর থেকেই পর্ণ নিজের অফিস যাওয়ার অনুমতি শ্বশুরবাড়ি থেকে আদায় করতে পেরেছে। তবে সেখানেও পর্ণা প্রতিদিন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। পর্ণা তার পরিবাকে কথা দিয়েছে সে ঘর আর অফিস দুটোই সমান ভাবে সামলাবে।
সম্প্রতি, পর্ণার চেষ্টা ও উদ্দ্যোগে দত্ত বাড়িতে তাদের ঐতিহ্যবাহী স্বরস্বতী পূজো আবার শুরু হয়েছে। স্বরস্বতী পুজোতেও পর্ণাকে হেনস্থা করার সুযোগ ছাড়লেননা তার শ্বাশুড়িমা। পর্ণার জেঠি শ্বাশুড়ি তার বাপের বাড়ি গেছেন তাই পর্ণা ও তার শ্বাশুড়ীকে ঠাম্মি বলেন ভোগের রান্না করতে। কিন্তু পর্ণার শ্বাশুড়িমা কায়দা করে ঠিক সময়ে শরীর খারাপের ভান করে সবটা পর্ণার ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেন তাকে অপদস্ত করার জন্য। তাকে অযোগ্য প্রমান করার জন্য।
তবে শেষমেশ সবাইকে যোগ্য জবাব দিলো পর্ণা। আর কথায় নয়, এবার কাজে করে দেখালো সে। অফিসের কাজ সামলে সময় মত বাড়ি পৌঁছে রান্না করে দেখালো পর্ণা। সে নিজেকে প্রমান করতে পেরেছে। শ্বশুরবাড়ির সন্মান রক্ষা করেছে সে। ঠাম্মির নির্দেশ মত নিজেই এক এক করে সব রান্না করেছে সে। গোলাপ খাস পোলাও, গয়না আলুর দম আর ফুলকপির বসন্ত বিলাস।
পর্ণা যখন সকলকে খাবার পরিবেশন করছে তখন সৃজন ঠাম্মিকে চুপি চুপি জিজ্ঞেস করে সব কি পর্ণাই রান্না করেছে। ঠাম্মি পরিষ্কার জানিয়ে দেন সবটাই পর্ণা নিজে রান্না করেছে। তিনি শুধু বলে বলে দিয়েছেন। এই শুনে সৃজন তো একেবারে অবাক। তবে এইসব দেখে সৃজনের মা কি করেন সেটাই দেখার। তার পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিয়েছে পর্ণা। তার ধারণা যে ভুল তা আবার একবার প্রমান করলো পর্ণা।