শ্বাশুড়িকে বালতি-গামলা কিনে দিতে ন্যাড়া হবে পর্না! নিম ফুলের প্রোমো দেখে হেসেই চলেছে দর্শক

জী বাংলায় (Zee Bangla) বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় ও চর্চিত ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu)। এই গল্প দর্শকের মনে দাগ কাটতে পেরেছে। প্রতিনিয়ত গল্পের

Nandini

neem phuler modhu parna decided to shave her head

জী বাংলায় (Zee Bangla) বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় ও চর্চিত ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu)। এই গল্প দর্শকের মনে দাগ কাটতে পেরেছে। প্রতিনিয়ত গল্পের এক একটা দিক এক একটা পরিস্থিতি যেন সকলের নিজের ঘরের। প্রতিটি মানুষের জীবনে কম বেশি যা ঘটে তার কাল্পনিক চরিত্রায়ন করা হয়েছে এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে। বিয়ের পর নতুন সংসারে, নতুন মানুষজনের মাঝে কেমন করে তেতোর মধ্যে মিঠের হদিস খুঁজে পাওয়া যায় সেই ধারণা নিয়েই গল্পের শুরু।

শুরু থেকেই গল্পের দুই চরিত্র সৃজন আর তার মা কৃষ্ণা এরা দিন দিন দর্শকের চক্ষুশূল হয়ে উঠছে। পর্ণার প্রতি সৃজনের মায়ের মনোভাব মোটেও পছন্দ হয়না দর্শকের। আর অন্যদিকে সৃজন মা কে কখনও কিছু বলতে পারেনা। সে মা যতই ভুল কথা বলুক। সে মায়ের সব কথায় তাকেই সমর্থন করে চলে। বিয়ের পর প্রথম প্রথম পর্ণা বেশ ধাক্কা খায় সকলের এমন আচরণে।

neem phuler modhu new promo

সে যে বড় আশা নিয়ে এক বড় পরিবারে বিয়ে করে এসেছে। তবে পর্নার পাশে আর কেউ না থাকতে চাইলেও, সৃজনের বাবা, চয়ন, বর্ষা, আর ঠাম্মি সবসময় আছে। তারা পর্নাকে ভীষণ স্নেহ করেন ভালোবাসেন। তারা পর্নাকে বোঝার চেষ্টা করেন। সম্প্রতি, ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছিলো পর্ণা চাকরি করতে চেয়েছিলো বলে তাকে বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল। তবে সব বাঁধা কাটিয়ে পর্ণা এখন কোমর বেঁধে চাকরি করছে।

কিন্তু এবার নতুন বিপদ পর্ণার সামনে। শ্বশুরবাড়ির অন্যায় আবদার যেন শেষই হয়না। একটার পর একটা উদ্ভট সব চিন্তাধারা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন পর্ণার শ্বাশুড়ি। এবারেও অন্যথা হল না। সামনে এলো নিম ফুলের মধুর নতুন প্রোমো আর এই প্রোমো দেখে দর্শকের যেমন রাগ হয়েছে সৃজনের মায়ের প্রতি, তেমনই দর্শকের হাসি থামানো দায়। তবে এটাও কিন্তু বাস্তব জীবনের আরেক সমস্যা।

সম্প্রতি, প্রকাশ পাওয়া প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে পর্ণা আর তার শ্বাশুড়ির মাঝে চুল নিয়ে বিরোধ বেঁধেছে। হ্যাঁ ঠিকই দেখেছেন। পর্ণা তার ছেঁড়া মাথার চুল গুলো ফেলে দিয়েছে আর সেটা দেখেই যেন রণচন্ডি হয়ে উঠেছে তার শ্বাশুড়ি। সে পর্ণাকে বলে ‘তোমার মা তোমাকে শেখাননি, ছেঁড়া চুল ফেলে না দিয়ে বাসন কেনা যায়’। তার বালতি, গামলা কেনা হলনা। তাই পর্ণার উপর চড়াও হলেন।

অন্যদিকে, পর্ণা তার শ্বাশুড়ীকে গামলা, বালতি কিনে এনে দেওয়ার কথা বললে তিনি বলেন টাকার গরম না দেখাতে। তার শুধু চুলই চাই। একথা শুনে পর্ণার মাথা গরম হয়ে যায় আর সে নাপিতের কাছে ছোটে। নাপিতকে বলে তাকে ন্যাড়া করে দিতে তার সব চুল চাই। পর্ণার এমন কীর্তি দেখে দত্ত বাড়ি পুরো অবাক। এবার সত্যি কি হয় তা আগামী পর্ব গুলিতে দেখা যাবে।

× close ad