বর্তমানে জী বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় সিরিয়াল গুলির একটি হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu)। এই সিরিয়ালটি শুরু থেকে দর্শকের নজর কেড়েছে নানাভাবে। কখনও পাত্রী পক্ষের প্রতি হওয়া পাত্র পক্ষের অন্যায় আবদারের প্রতিবাদ আবার কখনও কথায় কথায় বাড়ির বউদের ছোট করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দিয়ে। আর সবচেয়ে বেশি পর্ণার সাহস, বুদ্ধি আর ধৈর্য দর্শককে আকর্ষণ করেছে।
শ্বশুর বাড়ির কাছ থেকে চাকরি করার অনুমতি আদায় করেছে। যে বাড়িতে বাড়ির বউ মানেই কেবল ঘর সামলাবে আজ সেখানে পর্ণা ঘর ও বাইরে দুটোই সামলানোর প্রতিজ্ঞা করেছে। উল্টোদিকে শ্বাশুড়িকেও তার অন্যায় আবদার থেকে সরে আসার জন্য ছোট ছোট প্রতিবাদ করে তবে তা ঝগড়া করে নয় বুদ্ধি দিয়ে। পর্ণার প্রতি তার শ্বাশুড়ির ব্যবহার দর্শকের গা জ্বালিয়ে দেওয়ার মত।
সাথে সৃজনের আচরণও। তবে সৃজন যে বউকে একেবারেই ভালোবাসেনা বা তার বিপক্ষে থাকতে চায় তা কিন্তু নয়। সেই প্রমান সৃজন নিজেই দিয়েছে। সম্প্রতি, এক নতুন বিপাকে পড়েছে তারা। আর এখানে কিন্তু সৃজনকেই পর্ণার সাথ দিতে দেখা গেলো। চয়ন ক্রিকেট খেলতে চায়। এক নামী ক্লাবে তাকে চান্স পাইয়ে দেওয়ার নামে তাকে ঠকায় সেখানকারই কয়েক প্রতারক।
চয়নের স্বপ্ন পূরণে তার বাবা তার সাথ না দিতে চাইলেও মা তার বাবাকে লুকিয়ে তাকে ৫০,০০০ টাকা দেয়। কিন্তু চয়ন যখন বুঝতে পারে সে ঠকে গেছে সে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পর্ণা আর সৃজন তাকে বাঁচিয়ে নেয়। কিন্তু সৃজনের জেঠু থাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে বাড়িতে নতুন অশান্তি শুরু করেন। এমনকি সৃজনের জেঠিমাকে মারতেও যান।
কিন্তু পর্ণ বিরোধিতা করে আবারও। সে সবার সামনে জেঠুকে কথা দেয় সে তিন দিনের মধ্যে টাকা ফিরিয়ে দেবে। আর ঠিক তখনই পর্নার মাথায় নতুন বুদ্ধি খেলে যায়। সে আর সৃজন ছদ্মবেশে হাজির হয় সেই ক্লাবে। পর্ণা সেজেছে পিসিমা আর সৃজন তার ভাগ্না। ছদ্মবেশে সৃজনকে দেখে দর্শক বেশ মজা পেয়েছেন। সাথে পর্ণার বুদ্ধি। আগামীতে কি হয় তা পরবর্তী পর্ব গুলিতে চোখ রাখলেই বোঝা যাবে।