আমাদের পৃথিবীর অনেক মানুষ আছে, যারা সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মায়নি, আর তাই তাদের কেরিয়ার প্রথম দিকে চকচকে হয়নি, অনেক পরিশ্রমের পর তারা পোঁছায় চকচকে জীবনের দ্বারে। তেমনই এক অভিনেতা হলেন এই পথ যদি না শেষ হয় ধারাবাহিকের অভিনেতা ঋত্বিক মুখার্জী (Writwik Mukherjee)।
কেরিয়ারের প্রথমে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে, এখন পৌঁছে গেছেন লিড চরিত্রে। স্টার জলসার ‘প্রথমা কাদম্বিনী’ ধারাবাহিকে প্রথম সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। একটা ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ডাক্তারি ছাত্রের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। এটা ছিল পার্শ্ব চরিত্র। কিন্তু এরপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপরই দেখা যায় ‘এই পথ যদি না শেষ হয় ‘ ধারাবাহিকের লিড চরিত্রে। এর থেকেই সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
কিন্তু একটা সময় তাঁর জীবনে ছিল অনেক দুঃখ। অনেক স্ট্রাগলের পর আজ পৌঁছেছেন এই জায়গায়। তিনি ছিলেন কলাবিভাগের ছাত্র। অভিনয় ভালোবেসে থিয়েটারে যোগ দেন, নাটক করতেন, স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি করতেন। কিন্তু সেসবই ছেড়ে দেন। আবার কাজ খোঁজা শুরু করেন। বিভিন্ন ধরনের কাজ করেছেন, স্কুলের বাইরে লিফলেট বিলি, পাড়ার মোরে সবজি বিক্রি। সবটাই করেছেন।
বর্তমানে তিনি আজ পৌঁছেছেন সাফল্যের চরম শিখরে। বর্তমানে তিনি অভিনয় করছেন জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মন দিতে চাই’ (Mon Dite Chai) এ সোমরাজের চরিত্রে। তাঁর বিপরীতে রয়েছেন ‘আয় তবে সহচরী’ খ্যাত বরফি অভিনেত্রী অরুণিমা হালদার (Arunima Halder)। এই জুটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সকলের কাছে।
মন দিতে চাই ধারাবাহিকের সোমরাজ চরিত্রটি একদম আলাদা তার আগের চরিত্রের থেকে । তিনি একজন দাম্ভিক ‘বিজনেস টাইকুন। তার সাফল্যের পেছনে সব কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করেন। একজন বদমেজাজি মানুষ। সোমরাজের সাথে কিন্তু বাস্তব জীবনে ঋত্বিকের বেশ মিল রয়েছে। বাস্তবেও ঋত্বিক বদমেজাজি, মুডি। যার জন্য খুব রেগে যান সবার উপর চেঁচামেচি করেন।