জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagaddhatri)। এই ধারাবাহিক সকলেরই বেশ পছন্দের। কারণ ধারাবাহিকের একটা অন্যরকম বিষয়বস্তু রয়েছে। যা দেখতে সকলেই বেশ পছন্দ করে। একটা নারীর কটা রূপ, সেটা এই ধারাবাহিকে দেখা মেলে। একজন নারী হতে পারে গৃহবধূ, হতে পারে অফিসার, হতে পারে সাধারণ সরল , হতে পারে স্মার্ট, হতে পারে প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ।
ধারাবাহিকের কাহিনী অনুসারে জগদ্ধাত্রীর দুটো রূপ। একদিকে সে সাধারণ গৃহবধূ, আর একদিকে সে স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ অফিসার। কিন্তু এই যে সত্যিটা এটা কেউই জানেনা, জগদ্ধাত্রী কাউকে জানতেই দেয়না, সে সবটাই করে লুকিয়ে। যখন সে গৃহবধূ, তখন সে খুবই সরল, আর যখন যে অফিসার, তখন তার কারোর উপর দয়া নেই। সত্যির সাথে সে কখনো আপোষ করেনা।
তবে জগদ্ধাত্রী যে জ্যাশ সান্যাল সেটা জানে, তার প্রাক্তন প্রেমিক তথা তার বোনের স্বামী উৎসব। আর এই সত্যিটা সকলের সামনে আনল উৎসব। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, জ্যাশ সান্যাল যখন জগদ্ধাত্রী রূপে বাড়িতে থাকে, সে সাধারণের মাঝেই অসাধারণ। সব সত্যিটা সে সকলের সামনে নিয়ে আসে, এই সব দেখে তার বোন অর্থাৎ মেহেন্দি ভাবছে জগদ্ধাত্রী এত কিছু ক্লু পাচ্ছে কোথা থেকে।
আর তখনই উৎসব সবটা বলে দেয়। সে জানায়, জ্যাস’ই হল জগদ্ধাত্রী সান্যাল। এই কথা শুনে সে অবাক হয়ে যায়। সে বলে, ‘আমার দিদি একটা স্কুলে চাকরি করত’। এরপর উৎসব বলে বাড়ির সবাই একথা জানবে। তখন মেহেন্দি জানায়, এই বাড়ির কেউ জানবে না জগদ্ধাত্রী জ্যাস। এরপর সে জানায়, ‘জগদ্ধাত্রীকে দিয়ে আমি জ্যাশ সান্যাল কে মারব’। এইবারই শুরু হবে, আসল খেলা।
বেশ দুর্ধর্ষ চমক জগদ্ধাত্রী ধারাবাহিকে। কিন্তু যতই জগদ্ধাত্রীকে উপড়ে ফেলার চেষ্টা করুক মেহেন্দি , সে হয়ত কিছুতেই সফল হতে পারবে না। তবে অন্যদিকে যখন সে জগদ্ধাত্রী তখন সে পরিবারের সকলের ভালো মন্দ ভাবে। আর তাই শেষমেশ কি হয়, এখনই বলা যাচ্ছে না।