জী বাংলার (Zee Bangla) এক নতুনত্ব ধারার সিরিয়াল হল ‘তোমার খোলা হাওয়া’ (Tomar Khola Hawa)। একটি মেয়ের শাশুড়ি হয়ে ওঠার গল্প। এই গল্প বাংলায় নতুন হলেও এই গল্প আগে হিন্দি বিনোদন চ্যানেলে দেখা গেছে। সেই ধারাবাহিকের অনুকরণেই এই ধারাবাহিক গড়ে উঠেছে। তবে নিজের মতন করে। ঝিলমিল ধীরে ধীরে আবিরের বন্ধু হয়ে উঠছে। সাথে তার ভরসার জায়গাও। একজন বৌমা হয়ে সে যেমন নিজের শাশুড়িকে ভালোবাসে যত্ন করে। তেমনই একজন শাশুড়ি হিসাবে সে তার গোটা পরিবারকে এক সুতোয় বাঁধতে উদ্ধত হয়েছে।
ঝিলমিলের রয়েছে তিন ছেলে বৌমা। তারা আসলে আবিরের সন্তান নয়। তারা আবিরের দাদার সন্তান। দাদা বৌদি মারা যাওয়ার পর থেকে আবিরই তাদের বাবা হয়ে উঠেছে। আবিরের প্রথম স্ত্রী অহনা। সেও মারা যায়। আর তারপর থেকে আবির আর কখনও বিয়ে করার প্রয়োজন মনে করেনি। তবে গল্পের খাতিরে ঝিলমিল ও আবির বিয়ের বন্ধনে বাঁধা পরে।
ঝিলমিলকে বাড়ির অনেকে মেনে নিলেও ছোট বউ আর বড় বউ কিছুতেই ঝিলমিলকে মানতে রাজি নয়। বিশেষ করে বড় বউ চৈতালি। সে কোনো না কোনো ভাবে ঝিলমিলকে বিপদে ফেলার ষড়যন্ত্র করে চলে। তবে ঝিলমিল যে তাদের সকলকে সমান ভাবে ভালোবাসে, আগলে রাখতে চায় সেই প্রমান ভালোবাসার সপ্তাহেই পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি, গল্পে এসেছে নাটকীয় মোড়। আবির একজন পরিশ্রমী ও সৎ ব্যবসায়ী। সে একটি নতুন হোটেল খোলার জন্য জায়গা কিনেছিল আর সেখানে ভিত পুজোর দিন সূত্রপাত হয় নতুন বিপদের। লোকাল কাউন্সিলর এর গুন্ডারা আবিরকে শাঁসিয়ে যায় তাদের টাকা দিয়ে তবে সেখানে ব্যবসা করতে পারবে।
তবে আবির তাতে কোনো ভাবেই রাজি হয়না। এমনকি তার রেস্টুরেন্টে কাউন্সিলর নিজে এসে হাজির হয় আবিরকে ভয় দেখতে তবে আবির সেখানেও না দমলে গুন্ডা দিয়ে তাকে মারধর করে কাউন্সিলরের লোকেরা। বর্তমানে আবির তার চলন ক্ষমতা হারিয়েছে। তবে ঝিলমিল প্রতিজ্ঞা করেছে সে আবিরকে আবার নিজের পায়ে উঠিয়ে দাঁড় করাবে।
আর তাই সে ইচ্ছা করে কানে হেডফোন দিয়ে রাখার ভান করে শাড়ির আঁচলে আগুন লাগিয়ে দেয়। আর সেটা দেখে আবির প্রানপন চেষ্টা করে ঝিলমিলকে বাঁচাতে এমনকি নিজের পায়ে উঠে দাঁড়াতেও। তবে আবির আদৌ নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যাবে কিনা তা বোঝা যাবে আগামী পর্ব গুলিতে চোখ রাখলেই।