জী বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় সিরিয়াল গুলির একটি হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu)। গত সপ্তাহে এই ধারাবাহিক টিআরপি তালিকায় একেবারে দ্বিতীয় স্থানে নিজের জায়গা করে নিয়েছিল। শুরু থেকেই এই গল্পে একটা প্রাচীন পন্থী বাঙালিয়ানার গল্প চোখে পড়েছে। সমাজে প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকা এক কঠিন সমস্যাকে খুব সাধারণ ও স্পষ্ট ভাবে পর্দায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
আর সেই জন্যই দর্শককে বারবার আকৃষ্ট করেছে এই ধারাবাহিক। একজন মা ছেলেকে ভালোবাসে এটা খুব সাধারণ একটা ব্যাপার। কিন্তু ছেলেকে ভালোবাসে বলে বিয়ের পরও ছেলেকে নিজের আঁচলে বেঁধে রাখার মত মানসিকতা নিয়ে চলাটা যে ছেলের জন্যই ক্ষতিকর সেটা বুঝতে তিনি অক্ষম। তিনি কেবল চান ছেলে যেন কোনো ভাবেই বউকে কখনও সমর্থন না করে।
প্রথম প্রথম সৃজন পর্ণাকে কোনো কাজে বা কোনো কথাতেই সমর্থন করতোনা। তার মার কথাই ছিল তার কাছে শেষ কথা। সেটা ভুল হোক বা ঠিক। তবে এখন সময়ের সাথে সাথে সৃজন পর্ণার মাঝে একটা সুক্ষ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। সৃজন-পর্ণা একে অপরকে ভালোবাসতেও শুরু করেছে। কিন্তু এই বিষয়টাই সহ্য করতে পারছেননা সৃজনের মা কৃষ্ণা।
তিনি এবার উঠেপড়ে লেগেছেন ছেলে আর ছেলের বৌকে আলাদা করতে। শুধু তাই নয় তিনি চান সৃজন আর পর্ণার মাঝে ঝগড়া হোক। তারা আলাদা হয়ে যাক আর সেই ফাঁকে তিন্নির সাথে আবার তিনি সৃজনের বিয়ে দেবেন। যদিও তাকে মদত দেওয়ার লোক সবসময় তার পাশেই আছে। পর্ণার জা প্রথম থেকেই পর্ণাকে সহ্য করতে পারেনা। তাই সে সমানে সৃজনের মাকে পর্ণার বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করে চলে।
সম্প্রতি, পর্ণা তার অফিসের কাজে তার অফিসের সহকর্মীদের সাথে সুন্দরবন যাচ্ছে। যদিও সৃজন তাতে পুরোপুরি সায় দেয়নি তবে অফিসার কাজে তো তাকে যেতেই হবে তাই মন না ছিলো পর্ণা যাচ্ছে। আর এদিকে পর্ণাকে যেতে দেখে সৃজনের মায়ের মনে আনন্দের সীমা নেই। সে আর মৌমিতা মিলে সকাল সকাল পুজোর থালা হাতে করে ছুটেছে মন্দিরের উদ্দেশ্যে। এবার দেখার পর্ণা কি সত্যিই যাবে? নাকি সৃজন তাকে বাঁধা দেবে?