এখন সব ধারাবাহিকের শেষ কথা টিআরপিই বলে। একটা ধারাবাহিকের আয়ু নির্ভর করে টিআরপির উপরেই। তাই যখনই টিআরপি তালিকায় কোনো ধারাবাহিকের নাম দেখা যায়না, তখনই সেই ধারাবাহিকের আয়ু কমতে থাকে। তখন দেখা হয়না, ধারাবাহিকের বয়স। ধারাবাহিকের বয়স ২মাস হোক বা ৬ মাস, টিআরপি তালিকায় নাম নেই যখন ধারাবাহিক শেষ।
ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে স্টার জলসার (Star Jalsha) অনেক গুলো ধারাবাহিক। ২০২২ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া নতুন ধারাবাহিক ‘নবাব নন্দিনী’ শেষ হয়েছে, এবারে শেষ হতে চলেছে স্টার জলসার একটি ধারাবাহিক ‘আলতা ফড়িং’ (Alta Phoring)। গত শনিবার ছিল এই ধারাবাহিকের শেষ শ্যুটিং। অনেক ধারাবাহিকের পথচলা মাত্র কয়েক মাস চলেই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু দেখতে দেখতে এই ধারাবাহিকের পথচলা শেষ হল প্রায় এক বছর পর।
৪০০ পর্ব পেরিয়ে তবেই সমাপ্তি ঘটল। ধারাবাহিকের গল্প মাঝখানে টিআরপি তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিলেও, বর্তমানে আর দেখায় যায়না। টিআরপি তালিকায় স্থান লাভের জন্য, ধারাবাহিকে আসে নানান চমক। গল্পের মোড় ঘুরে যায়। নায়ক হয়ে যায় খলনায়ক, পার্শ্ব চরিত্র হয়ে যায় নায়ক। এছাড়াও আগমন ঘটে নানান ধরনের চরিত্রের। কিন্তু তাও ফললাভ করতে পারেনি। গত শনিবার সমাপ্ত হয় ধারাবাহিকের শেষ শ্যুটিং।
ধারাবাহিকের শেষ শ্যুটিং এ সকলেরই মনখারাপ। ‘আলতা ফড়িং’ ধারাবাহিকে নায়কের দাদার চরিত্রে যিনি অভিনয় করছেন অর্থাৎ অভিনেতা রাজীব বসু জানান, ‘কাজ শেষ হলে সকলেরই মনখারাপ হয়। আমাদের ক্ষেত্রেও এটা হচ্ছিল। তবে হইহই করে সময়টা যে কখন কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না। মাটন বিরিয়ানি, চিকেন চাপ, চাটনি, মিষ্টি বেশ চুটিয়ে খাওয়া দাওয়া হয়েছে।
সিরিয়ালের প্রযোজকও এসেছিলেন’। এতদিন এই ধারাবাহিক সম্প্রচার হত, সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টার স্লটে। এবার আগামী 13 ই মার্চ থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় সম্প্রচারিত হবে নতুন ধারাবাহিক ‘কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’।এক অনুরাগী আলতা ফড়িং এর স্মৃতি চারণা করে লিখেছেন, ‘425 তম পর্বে শেষ হয়ে যাচ্ছে স্টার জলসায় টেন্ট সিনেমার অন্যতম সেরা প্রজেক্ট আলতা ফড়িং।
প্রথম সপ্তাহেই ব্যাপক ব্যাবধানে স্লট কেড়ে নিয়েছিল প্রতিপক্ষের থেকে। ৯.৪ রেটিং নিয়ে চ্যানেল টপার ও বাংলার ২য় সেরা ধারাবাহিক এর শিরোপা জয় করেছিল এবং ৩য় সপ্তাহেই ৯.৮ টিআরপি নিয়ে বেঙ্গল টপার হয়েছিল। প্রথমদিকে খুবই স্নিগ্ধ গল্প ছিল যার জন্য জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেছে সবসময়। স্টার জলসা ও টেন্ট এর অন্যতম সেরা প্রজেক্ট হিসেবে চিরকাল দর্শকের মনের মনিকোঠায় থেকে যাবে।’