স্টার জলসার (Star Jalsha) পর্দায় যে সমস্ত নতুন ধারাবাহিক গুলো সম্প্রচারিত হচ্ছে তাদের মধ্যে জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)। ধারাবাহিকের প্রোমো প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই প্রশংসিত হয়েছিল এই ধারাবাহিক। বীথি চরিত্র বাদে সব চরিত্রই বেশ প্রশংসিত। ডোডো আর মৌয়ের বৈবাহিক সম্পর্ককে মেনে নেয়না বীথি। সে বরাবরই মৌ কে অপছন্দ করতো। মৌকে তাচ্ছিল্য করে।
কিন্তু এই তাচ্ছিল্যতেও কোনো লাভ হয়না। দুজনকে আলাদা করতে ডিভোর্সের পরিকল্পনা করেন বীথি। শুধু ডিভোর্স নয় বীথি চরিত্রটি হারিয়েছে নিজের সত্ত্বা। বীথি এখন শুধুই ভিলেন। মৌকে ডোডোর জীবন থেকে সরিয়ে চাঁদনীকে ডোডোর জীবনে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। কিন্তু যতই পরিকল্পনা করুক বীথি, ডোডো আর মৌ একে অপরের প্রতি দুর্বল।
যতই উপর থেকে দুজনের রাগ-অভিমান দেখা যাক, ভিতরে ভিতরে কিন্তু দুজনের প্রতি দুজনেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি, এই ধারাবাহিকের একটি নতুন প্রোমো প্রকাশ পেয়েছে। আর তাতে দেখা যাচ্ছে মৌ-ডোডো আর চাঁদনীর সম্পর্কের সমীকরণটা বদলাতে শুরু করেছে। ডোডো কখনোই মৌকে পেয়েই চাঁদনীকে ভুলে যায়নি। সে আজও চাঁদনীকেই ভালোবাসে। কিন্তু মৌ তার স্ত্রী।
আর তাই প্রেমিকার জন্য সে নিজের স্ত্রীকে কখনও অপমান বা অসম্মানও করেনি। ডোডো মৌয়ের প্রতি যথেষ্ট সৎ। তেমনই চাঁদনীর প্রতি ভালোলাগাটা সে বাধ্য হয়েই দূরে সরিয়ে রাখে কারণ সে এখন অন্যকারুর স্বামী। দোলে চাঁদনী আসার পর চাঁদনী সেখানেই থেকে যায়। প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে চাঁদনী মৌয়ের শাড়ি পরে রয়েছে। অন্যদিকে, ডোডো বৃষ্টিতে ভিজে গেলে চাঁদনী নিজে থেকে তার মাথা মুছে দিতে যায়।
চাঁদনী আর ডোডোকে দেখে ভুল বোঝে মৌ। সে ছুতে চলে যেতে গেলে বীথি মৌকে বলে ডোডোর মুখোমুখি দাঁড়াতে। তাদের মাঝে ঝগড়ার পাশাপাশি অনুরাগের ঝলকও চোখে পরে। তবে এবার সম্পর্ক গুলো কি সত্যি বদলাতে চলেছে? বীথি নিজের চক্রান্তে সফল হবে? নাকি মৌ বুঝতে পারবে সবটাই বীথির নোংরা খেলা।