স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল, ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)। খুব অল্প সময়ে দর্শকমহলে এই ধারাবাহিক জায়গা করে নিয়েছে। পাশাপাশি জনপ্রিয় হয়েছে স্বীকৃতি মজুমদার এবং অর্পণ ঘোষালের জুটি। অনেক দিন পর এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে রূপা গাঙ্গুলী ফিরেছেন। ফিরলেও তাঁর চরিত্রটি এতটাই কঠিন, এতটাই অভিমানী যে দর্শকমহলে সেরকম প্রশংসা পায়নি। খুবই সমালোচিত হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি এমন এক ট্র্যাক দেখা গেল, যা দেখে দর্শকরা সমালোচনা নয় প্রশংসা করেছেন।
যারা ধারাবাহিক দেখেন তারা জানেনই , ধারাবাহিকে পিসেমশাই এর চরিত্র কতটা নৃশংস। মেয়ের বয়সী মেয়েদের অত্যাচার করতে তাঁর হাত কাঁপেনি। টিকলির জীবন নষ্ট করেছে এই পিসেমশাই। এবার মৌয়ের দিকেও সে হাত বাড়াচ্ছে। আর সেটা সকলের সামনেই । সম্প্রতি সেই ট্র্যাক সামনে দেখা গেল। প্রকাশ পাওয়া ট্র্যাকে দেখা যাচ্ছে, মিত্র বাড়ির সত্যনারায়ণ পূজোয় আম্মার ডাকে উপস্থিত হয়েছিলেন সুবোধ।
আর সেখানেই সুবোধকে মৌ প্রসাদ দিতে গেলে, সে মৌয়ের হাত অসম্মানজনক ভাবে স্পর্শ করে বলে, ‘নাও সবার সামনে অসভ্যতা করছি। যদি তোমার কিছু ক্ষমতা থাকে করে নাও’। এরপর মৌ প্রসাদ সরিয়ে নিয়ে বলে আপনি কি মানুষ? দূর থেকে সবটাই দেখতে পায় বীথি। মৌকে কাছে সরিয়ে নিয়ে, মৌকে রক্ষা করল বীথি। সুবোধের গালে ঠাস করে একটা চর কষিয়ে দেয়। একজন মেয়ে হয়ে আর একজন মেয়ের পাশে দাঁড়ানোয় বেশ প্রশংসা পেয়েছে বীথি চরিত্রটি।
ধারাবাহিকের প্রোমো প্রকাশে ট্যাগলাইন ছিল, এক ছাদের নীচে থাকতে থাকতে কখন মেয়েরা যে মেয়েদের বন্ধু হয়ে যায় তার গল্পই বলবে মেয়েবেলা। প্রথমদিকে দেখানো হচ্ছিল মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু। কিন্তু বর্তমানে প্রত্যেকটি নারী একে অপরের পাশে দাঁড়াচ্ছে। যা দেখে সকলেই বেশ প্রশংসা করেছেন। এক অনুরাগী প্রশংসা করে লিখেছেন , ‘ মেয়েবেলা বোধ হয় এই জন্যই ইউনিক!! যেখানে বীথি অপছন্দ করে মৌ কে।
কিন্তু একজন মেয়ে হয়ে অন্য মেয়ের অপমান দেখে প্রতিবাদ করতে ভুলেনি সে। অন্য সিরিয়ালে হয়তো এরকম বিষয় ঘটেনি বা ঘটেছে কিনা জানা নেই। একজন মানুষের মধ্যে ভুল ত্রুটি, প্রতিবাদী মনোভাব, ভালোবাসা অভিমান সবই পাঁচমিশেলিভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে বীথি চরিত্রে! ভুল মানুষের মধ্যে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। বাস্তবিক চরিত্র এরকমই হয়।’ আর একজন লিখেছেন, ‘যাক বীথি মাসির মনে যাই থাকুক, একজন নারী হয়ে নারীর সম্মান বাঁচাতে ছুটে যাওয়া ভালো লাগল।’