বাংলা টেলিভিশন জগতের একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)। একেবারে অন্য স্বাদের অন্যরকম এক গল্প হল মেয়েবেলা। সবেমাত্র শুরু হয়েছে এই ধারাবাহিকের পথচলা। প্রথম থেকেই ধারাবাহিকটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে। ভিন্ন স্বাদের এই ধারাবাহিক দেখার ভিড় উপচে পড়ে দর্শকদের মধ্যে। আর তাই তো টিআরপি তালিকাতেও দেখা মিলছে স্টার জলসার (Star Jalsha) এই জনপ্রিয় ধারাবাহিকের।
ধারাবাহিকের কাহিনী সকলেরই বেশ জানা। মৌয়ের সাথে বিয়ে হয় নির্ঝরের। তাও সেটা ভাগ্যক্রমে। একটা শর্তের মাধ্যমে। নির্ঝর ভালোবাসে চাঁদনীকে। চাঁদনীর ভালোবাসা উপেক্ষা করে সে মৌকে বিয়ে করে। কিন্তু মৌয়ের শাশুড়ি বীথি তাকে একদমই সহ্য করতে পারেনা। তাকে অপদস্থ করার পরিকল্পনা সবসময় করতে থাকে। এমনকি তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে তবেই যেন তাঁর শান্তি হয়।
আসলে বীথি চায় চাঁদনীই তাঁর বৌমা হোক। কিন্তু ভাগ্যচক্রে তো বিয়ে হয়ে গেছে। নির্ঝর এখন মৌয়ের প্রতি কিছুটা হলেও নরম । তাদের সম্পর্ক ধীরে ধীরে মধুর হচ্ছে। একে অপরের পাশে রয়েছে। একে অপরের মধ্যে টান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মৌয়ের খাবার লুকিয়ে রাখে বীথি, কিন্তু মৌকে অভুক্ত থাকতে দেখে মৌয়ের জন্য অমলেট বানিয়ে দেয় ডোডো। কিন্তু এর মাঝেই দেখা গেল ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা।
চাঁদনী তাঁর দাদাকে জানিয়ে দেয় ডোডোকে ভোলা তার পক্ষে অসম্ভব। অন্যদিকে ডোডোর ল্যাপটপে চাঁদনীর ছবি দেখে মৌ খুব কষ্ট পায়। ডোডোকে মৌ বলে, ‘আমাদের ডিভোর্সের পর তোমার আর চাঁদনীদির বিয়ে হবে, তোমাদের বিয়েতে আমাকে ডেকো কিন্তু’। মৌয়ের মুখে এই কথা শুনে হতাশ হয়ে যায়। এবার কি হয় সেটাই দেখার। সত্যিই কি তাদের বিচ্ছেদ হবে, নাকি এক হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে মিত্র বাড়িতে বছরের শুরুর দিনে সবাই যখন একসাথে খেতে বসেছে তখন পুলিশ এসে হাজির হয়েছে। ডক্টর সুবোধ দাসগুপ্তের অভিযোগের ভিত্তিতে মিত্র বাড়ির সমস্ত মহিলাদের জেলে যেতে হবে। কিন্তু নির্ঝর জানায়, সে থাকতে এটা কখনোই হতে দেবেনা। নতুন বছরে এটাই নির্ঝর মিত্রর প্রমিস।