জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল গুলির একটি নিম ফুলের মধু। এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের এক অন্য গল্পের রসদ জুগিয়েছে। একটা মেয়ে যে চারজন নিয়ে গড়ে ওঠা পরিবার থেকে বিয়ের পর এসে পরে এক একান্নবর্তী পরিবারে। সেখানে মেয়েদের কোনো মতামতকে প্রায় গুরুত্বই দেওয়া হয়না। মেয়েদের আনন্দ করা, সংসারের বিষয়ে কথা বলা, বাইরে চাকরি করা কোনোটাই গুরুত্বপূর্ণ নয়।
তবে ধারাবাহিকে সব থেকে বেশি মজার ও টক্করের সম্পর্ক পর্ণা ও তার শাশুড়ির। কৃষ্ণা কখনই চাননি পর্ণার মত একটা আধুনিক চিন্তাধারার শিক্ষিতা মেয়ের সাথে তার ছেলের বিয়ে দিতে। তিনি ছেলেকে এতটুকু ভাগ করে নিতে নারাজ। আর স্বভাবতই তার কিছু স্বভাব দর্শকের কাছে বেশ বিরক্তিকর। দৃষ্টিকটু হয়ে দাঁড়ায়। কৃষ্ণার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী অরিজিতা মুখোপাধ্যায়কে।
সম্প্রতি, এক সংবাদমাধ্যমে তিনি তার এই চরিত্রে অভিনয়ের পর বাস্তব জীবনে তার প্রভাবের কিছু ঘটনা নিয়ে জানিয়েছেন। অভিনেত্রী, কৃষ্ণা চরিত্র সম্পর্কে জানান, চরিত্রটি তার জন্য ভীষণ বাস্তব, রক্তমাংসের একটা চরিত্র। তার কথায় চরিত্রটি স্বার্থপর নয়, আত্মকেন্দ্রিক। তিনি আরও বলেন প্রতিটি পরিবারেই এমন একজন হয়ত কৃষ্ণার মত মানুষ আছেন বা কেউ কেউ হয়ত এমন একটা কৃষ্ণার মত মানুষকে চেনেন বা প্রতিনিয়ত দেখেন।
তারা প্রত্যেকেই এই চরিত্রটির সাথে কানেক্ট করতে পারেন। তবে কৃষ্ণা খল চরিত্র কখনোই নয়। আর তাই দর্শক তাকে ভালোবাসেন বলে মনে করেন অভিনেত্রী। তার কথায়, তিনি কিছু অপ্রস্তুত পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন এই চরিত্রটির কারণে। কিছু সিরিয়াল প্রেমী মানুষ কিছু চরিত্রকে ভীষণ ভাবে আসল ভেবে নেন। তাদের কাছে সেই চরিত্রের পিছনের মানুষটার কোনো আলাদা অস্তিত্ব থাকেনা।
সেইরকমই কৃষ্ণা চরিত্রটিকে অনেকেই ভীষণ ভাবে নেগেটিভ চরিত্রই মনে করেন আর তাই তাদের কাছে অভিনেত্রী অরিজিটা বর্তমানে কৃষ্ণাই। পর্দার এপারেও আবার পর্দার ওপারেও। পর্দার বাইরেও তাকে জনসমক্ষে কিছু মানুষ চিনতে পেরে তাকে অরিজিতা হিসাবে না দেখে কৃষ্ণা হিসাবে দেখেছেন। চিৎকার করে সকলের সামনেই, ‘ভীষণ বদমায়েশি করে এই মহিলা!’ এমনও উক্তি করেছেন। এই বিষয়গুলো অভিনেত্রীর কাছে ভীষণ অপ্রস্তুত ও ভীষণ অদ্ভুত ঘটনাও বটে।