স্টার জলসার (Star Jalsha) একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল, ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)। এই ধারাবাহিক দর্শকমহলে বেশ জনপ্রিয় এবং প্রশংসিত। কিন্তু প্রশংসা পেলেও ধারাবাহিকের চরিত্রের কারণে বেশ সমালোচিত হয়েছে ধারাবাহিকটি। আর সেই সমালোচিত চরিত্রের অভিনেত্রী যাতে ধারাবাহিক ছেড়ে চলে যায়, তারও কথা জানিয়েছিলেন অনুরাগীরা। সম্প্রতি ধারাবাহিকে সেটাই হয়েছে, সমালোচিত চরিত্রের অভিনেত্রী ধারাবাহিক থেকে বিদায় নিয়েছেন।
মেয়েবেলা ধারাবাহিকে বীথির চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Rupa Ganguly)। এই অভিনেত্রী অনেক দিন ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে ছিলেন। ব্যস্ত ছিলেন রাজনৈতিক জীবনে। কিন্তু আবারও ফিরেছেন ইন্ডাস্ট্রিতে, মেয়েবেলা ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে আবারও ফিরেছিলেন। কিন্তু অভিনয় কেন ছাড়লেন তিনি? তিনি ধারাবাহিকে যে শর্ত মেনে অভিনয় করতে রাজি হয়েছিলেন, সেই শর্ত মানা হয়নি। তাঁকে যে চরিত্র দেওয়া হয়েছিল, সেই চরিত্রের সাথে তাঁর বাস্তব জীবনের কোনো রকম মিল নেই।
আর তাতেই বাধ্য হয়েছেন ধারাবাহিক ছাড়ার। তিনি জানিয়েছেন, ‘ ধারাবাহিকে যে অসভ্যতা দেখানো হচ্ছিল তা মানতে পারছিলাম না। এই সময়ে দাঁড়িয়ে এই ধারাবাহিক এতটা রিগ্রেসিভ হয়ে যাবে ভাবাই যায়না। এটা চল্লিশ বছর আগে হলে মেনে নেওয়া যেত। বীথি যেগুলো ঘটাচ্ছে তার কোনো যুক্তি নেই। বাজারে এটাই চলছে। প্রতিদিন বাড়ি ফিরে কাঁদতাম কি চরিত্র করছি আমি।’ রূপা গাঙ্গুলীর বদলে ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন টলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অনুশ্রী দাস। এই অভিনেত্রীকে দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন।
অনেকেই চাইছেন আবারও ফিরুক রূপা গাঙ্গুলী। রূপা গাঙ্গুলী চলে যাওয়ার পিছনে লেখিকাকেই দুষেছেন। এক অনুরাগী তাই লিখেছেন, ‘যারা বীথি মাসিকে বদলে দেওয়া নিয়ে প্রতিবাদ করছেন, তাদেরকে বলছি, কষ্ট পাওয়ার কিছুই নাই। বরং রুপা গাঙ্গুলি অনেক ভালো কাজ করেছেন এই চরিত্র ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে। মেয়েবেলার গল্পটি অসাধারণ সুন্দর একটি গল্প ছিল। বীথি মাসির সেই গল্পের প্রাণ হয়ে থাকার কথা ছিল।
তাই এত বছর পর রুপা আবার অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অথচ সেই বীথি মাসির চরিত্রকে অত্যন্ত নীচ একটা চরিত্র বানিয়ে দিলেন লেখিকা। তাই এরকম জঘন্য একটা চরিত্র ছেড়ে দিয়ে রুপা ম্যাম একদম ঠিক কাজ করেছেন। লেখিকার উচিৎ এখন অন্তত বীথি মাসির চরিত্রটির নোংরামি কিছুটা কমিয়ে দেওয়া। কারণ, সিরিয়ালের প্রাণ চরিত্রকে সিরিয়ালের বিষ হিসেবে দেখতে কারোই ভালো লাগছে না।’