স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)। আমরা সবসময় একটা কথা শুনে এসেছি, ‘মেয়েরাই মেয়েদের সবচেয়ে বড় শত্রু’। সবসময় তারা একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। একে অপরকে ঈর্ষা করে, এতটাই ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ে যে একটা সময় প্রতিযোগীতা দেখা যায়। এই নিয়েই শুরু হয়েছে মেয়েবেলা ধারাবাহিকের কাহিনী। ধারাবাহিকের পরতে পরতে দেখা যাচ্ছে টুইস্ট।
সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে, ডোডো-মৌ-চাঁদনী এই তিনজনের সম্পর্কের সমীকরণ আরও জটিল হচ্ছে। যতই দেখা যাক ডোডো মৌয়ের সম্পর্কের সমীকরণ সহজ হচ্ছে, কিন্তু আসলে তা নয়। ডোডো জানিয়েছে সে অভিনয় করছে, তার মনে এখনো চাঁদনীর জন্য জায়গা আছে। এমতাবস্থায় সম্পর্কের সমীকরণ কী হবে?
তবে ডোডো যে মৌয়ের প্রতি দূর্বল, সেটা দেখলেই বোঝা যায়। কিন্তু সে যে চাঁদনীকে ভালোবাসে। আসলে ডোডো বুঝতে পারছেনা কী চায় সে। মৌয়ের পাশ থেকে সরে যেতেও কষ্ট হচ্ছে, আবার চাঁদনীর থেকে সরে যেতেও কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু মৌ বড্ড অভিমানী । ডোডো যেদিন থেকে চাঁদনীর সাথে কফি খেয়েছে সেদিন থেকেই মৌয়ের একটা খারাপ লেগেছে।
আর তাই সে ডোডোর সাথে কথা বলেনা, ইগনোর করে। এমনকি তাকে সাহায্য করতে এলেও মৌ সাহায্য নেয়না। অন্যদিকে মৌয়ের রাগ হলেও, ডোডোর প্রতি সেও কর্তব্য পরায়ণ। খেয়াল রাখতে ভোলেনা। এই ট্র্যাক দেখে অনুরাগীরা মুগ্ধ, একজন লিখেছেন, ‘ ডোডোর মৌ এর প্রতি আন্তরিকতা দেখে মন ছুঁয়ে গেলো। মৌ এর অভিমান হওয়া খুব স্বাভাবিক,ডোডো কে সেটা বুঝতে হবে।
মায়ের প্রতি আনুগত্য বেশি হলে ডোডো জীবনে ভুল করবে,যেমন ওর বাবা করেছিলেন। ডোডো যে বাবাকে আঘাত করে কথা বলে,তারপর ওর অনুশোচনায় ভোগাটাও দেখার মতো। ডোডোর অভিনয় সত্যিই এক কথায় অনবদ্য।’ আর একজন লিখেছেন, ‘ ডোডো-মৌ এর মধ্যকার এই ছোট ছোট মান-অভিমান,ঝগড়া-ঝাটি,ভালোবাসা দেখতে বেশ মিষ্টিই লাগে কিন্তু। মৌ এর অভিমানী মন,অন্যদিকে ঘেঁটে যাওয়া ডোডো পাখি’।