একটা সিনেমা বা সিরিয়াল আমাদের সামনে খুব সুন্দর ভাবে প্রতিস্থাপিত হয়, কিন্তু এর পিছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম । কিন্তু আমরা সেটা দেখিনা, কারণ সেটা আমাদের সামনে ঘটেনা তাই। এমন অনেক কিছুই আছে, যা ঘটেনা সামনে পিছনে ঘটে। একটা ইন্ডাস্ট্রিতে থাকার জন্য কী ব্যবস্থা রয়েছে তা আমরা অনেকেই জানিনা। থাকাটা যে কোনো মূল্যে হলেও, প্রাকৃতিক ক্রিয়াকর্ম আমরা আটকাতে পারিনা, তার জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট জায়গা।
কিন্তু সেই পরিকাঠামো কি টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে (Industry) রয়েছে? আসুন জেনে নিই। টালিগঞ্জে রয়েছে ১০ থেকে ১২ টি স্টুডিও (Studio)। এই স্টুডিও গুলিতে প্রতি দিন অন্তত ৩ টি করে সিরিয়ালের শুটিং চলে। শুধু সিরিয়াল নয়, ওয়েব সিরিজ, সিনেমার শুটিংও হয়। আর এত রকম কাজ কর্ম হয় মানেই হাজার লোকের সমাগম। এই সব মানুষদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে?
এগ্জ়িকিউটিভ প্রোডিসার সৌমি পালিত জানান, এখন পরিকাঠামো বেশ ভালো। এখন সকলেই স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজকর্ম করেন। সব শিল্পীদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা শৌচালয়। আর টেকনিশিয়ানদের জন্য আলাদা ঘর নেই। ছেলেদের একটি ঘর, মেয়েদের একটি ঘর। এই ঘরের শৌচালয় বেশিরভাগ ছেলেরা ব্যবহার করেন। আর মেয়েরা মেকআপ রুমের শৌচালয় ব্যবহার করেন।
টলিপাড়ার বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অনুশ্রী দাস যিনি মেয়েবেলার বীথি চরিত্রে অভিনয় করছেন, তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতির পর থেকেই স্বাস্থ্যকর শৌচালয়ের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়, তাই তাঁর কোনো অভিযোগ নেই। মিতুল ওরফে আরাত্রিকা মাইতি জানান, ‘আমরা একটা শৌচালয় তিন জন ব্যবহার করি। এক্ষেত্রে, আমাদেরই দায়িত্ব থাকে এটা পরিষ্কার করার জন্য’।
আবার অনেকের মতে, কয়েকটা স্টুডিয়ো ছাড়া বাকি স্টুডিওর বাথরুমের অবস্থা খারাপ। স্টুডিওতে টেকনিশিয়ান মহিলাদের জন্য আলাদা কোনো বাথরুম নেই। তাঁরা নিজেরাই মেকআপ রুমের বাথরুম ব্যবহার করেন। টেকনিশিয়ানদের জন্য যে বাথরুম রয়েছে, তা দিনে এক বারই পরিষ্কার করা হয়।