স্টার জলসার (Star Jalsha) অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chowa) এখন জমজমাট। আর এই জমজমাটের কারণেই তো হারিয়ে যাওয়া টিআরপি ফলাফল আবার ফিরে পেয়েছে অনুরাগের ছোঁয়া। আর এতেই খুশি সকলে। মন ভরে যাওয়ারই তো কথা, অনেক ধারাবাহিকের টিআরপি একবার নীচে নেমে গেলে, তা উঠতেই চায়না, কিন্তু অনুরাগের ছোঁয়া ব্যাতিক্রম। আর এই ব্যাতিক্রমীতাটা তার এই জমজমাট ট্র্যাকের জন্য।
ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শকরা জানেনই, সোনা রূপা সূর্যর প্রাণ। নিজের অজান্তেই সূর্য রূপাকে নয়নের মনি করে রেখেছিল। কিন্তু এখন সে জেনে গেছে তাঁরই মেয়ে রূপা, আর এই জানার পরেই রূপাকে মেনে নিতে পারছেনা সূর্য। দীপাকে সরে যেতে বলে রূপার জীবন থেকে, তবেই সে তাঁর মেয়েকে স্বীকৃতি দেবে। এই কথা আড়াল থেকে শুনে নেয় রূপা। তার এই ছোটো মনে প্রশ্ন জাগে, সে কি এমন করেছে?
যার জন্য মেনে নিচ্ছেনা। আর সোনা বেশ আনন্দেই আছে, এখন সে তাঁর বাবা মায়ের বিয়ে দেবে। কিন্তু রূপার যে বড্ড অভিমান। মনের মধ্যে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কেন মেনে নিচ্ছেনা বাবা। এই অভিমানী রূপা ডাক্তারবাবুর জামা নিয়ে বুকে আঁকড়ে ধরে। এরপর দরজা বন্ধ করে বাবার জামা পড়তে থাকে। দীপা দরজা খুলতে বলায়,রূপা জানায়, রূপা এখন ব্যস্ত সে দরজা খুলবেনা।
এরপর দীপা জানালা দিয়ে দেখে রূপা সূর্যর জামা পড়ছে। রূপা জামা পড়ে তার টেডিকে বলে, এই দ্যাখো আমি বাবা হয়ে গেছি। তারপর সে কাঁদতে থাকে এবং বলে, ‘কাঁদেনা রূপা কাঁদেনা, কষ্ট পেয়োনা। আমি তোমার বাবা হয়েছি, তোমার কোনো কষ্ট হবেনা। আর তোমার মায়েরও কোনো কষ্ট হবেনা।’ দীপা জানে, রূপা জানেনা ডাক্তারবাবু ওর বাবা। কিন্তু রূপার এরূপ ব্যবহারে সে বুঝতে পারে, রূপা সবটাই জেনে গেছে।
এরপর দীপা সেনগুপ্ত বাড়িতে পৌঁছে যায়। লাবণ্যকে জানায়, রূপা সব জেনে গেছে। কিন্তু কী করে জানল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তারা সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে দেখে, সেদিনের ওই কথাবার্তা বলার সময় রূপা উপস্থিত ছিল। এরপর দীপা সহ লাবণ্য ও প্রতীক দীপার বাড়িতে গেলে সত্যিটা রুপাকে ভালো ভাবে বোঝাতে চেষ্টা করে। তবে রুপা যখন কথাটা এড়িয়ে যেতে যায় দীপা বলে সব জেনে আর মিথ্যে বলিসনা। তখন রুপা সকলের সামনে বলে সে জানে ডাক্তারবাবু তার বাবা।